প্রথম পাতা
‘বুদ্ধিজীবীরা মীরজাফরি করছেন’
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
দেশের বুদ্ধিজীবীরা দায়িত্ব পালন না করে চামচাগিরি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের দেশের মানুষকে পথ দেখানোর কথা। কিন্তু তারা চামচাগিরি করছেন, বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, মীরজাফরি করছেন। তারা তাদের দায়িত্ব পালন না করে উল্টোটা করছেন। এটাই বাংলাদেশে চলছে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির চালচিত্র’ শীর্ষক এই স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাজমুল করিম স্টাডি। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এই রাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র। শুধু কর্তৃত্ববাদীই নয়, এই ব্যবস্থায় রয়েছে পিতৃতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী। এটা একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র। আমরা পাকিস্তানের আমল দেখেছি। ৪৬ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস দেখছি। এই রাষ্ট্রে আমলাতান্ত্রিক ও পুঁজিবাদী চরিত্র আরও বিকশিত হয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এজন্যই আজকের এই দুর্দশা। আমরা কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা শিশুর মতো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক উন্নতি করেছি। দৃশ্যমান এবং অবকাঠামোগত উন্নতি আছে। কিন্তু ভেতরের দুর্দশা হচ্ছে শিশুর। যে শিশু খেলতে চেয়েছিল, খেলতে গিয়ে ধর্ষিত হলো, প্রাণ হারাল। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের বাস্তবতা।
এই বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছে, এই রাষ্ট্র নৃশংস, আমলাতান্ত্রিক। ঢাবির সাবেক এ অধ্যাপক আরও বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থার পেছনে হত্যাকাণ্ড। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। যা বাস্তবিক সত্য। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতায় লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই। বাংলাদেশে বাস করে আমরা নিয়মিত এটার মুখোমুখি হচ্ছি। কর্তৃত্ববাদ আমরা সর্বত্র প্রতিনিয়ত দেখছি। আমরা রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দেখছি, মতামত চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা। এমনকি গণমাধ্যমেও এই প্রবণতা লক্ষ্যনীয়। এটা গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। নির্বাচন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রত্যাশীরা কেবল প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর ওপরই চড়াও হচ্ছেন না, নিজের দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও তাঁরা কোনো ছাড় দিতে চান না। এ জন্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুন করতেও তাঁদের হাত কাঁপে না। অন্য দল ও নিজ দলের ভেতরে বিরোধ ও খুনখারাবি এখন ডালভাত।
এই বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছে, এই রাষ্ট্র নৃশংস, আমলাতান্ত্রিক। ঢাবির সাবেক এ অধ্যাপক আরও বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থার পেছনে হত্যাকাণ্ড। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের দখলে। যা বাস্তবিক সত্য। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতায় লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রের কর্তৃত্ববাদী চরিত্র বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই। বাংলাদেশে বাস করে আমরা নিয়মিত এটার মুখোমুখি হচ্ছি। কর্তৃত্ববাদ আমরা সর্বত্র প্রতিনিয়ত দেখছি। আমরা রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও দেখছি, মতামত চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা। এমনকি গণমাধ্যমেও এই প্রবণতা লক্ষ্যনীয়। এটা গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। নির্বাচন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রত্যাশীরা কেবল প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর ওপরই চড়াও হচ্ছেন না, নিজের দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও তাঁরা কোনো ছাড় দিতে চান না। এ জন্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে খুন করতেও তাঁদের হাত কাঁপে না। অন্য দল ও নিজ দলের ভেতরে বিরোধ ও খুনখারাবি এখন ডালভাত।