বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে ‘স্ট্যাব সাগর’ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গলের আলোচিত সেই কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান স্ট্যাব সাগর ও তার আরেক সহযোগী দ্বীপ সাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ মৌলভীবাজারের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। ‘পুলিশ জানিয়েছে, এই কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, এদের মূল উৎপাটনের জন্য এই চারজনকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আদালতে আবেদন পাঠানো হয়। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে আদালতে রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ৮ই জুলাই হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নোহাটি এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। পুলিশ এ সময় সাগরের সঙ্গে দ্বীপ সাগর নামে তার আরেক সহযোগীকে আটক করে। এ অভিযানে ছিলেন শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও ওসি মো. আব্দুছ ছালেকসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা। এর পর তাদের দু’জনকে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসা হয়। সাগর ও তার সহযোগী দ্বীপ সাগরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ৯টায় শহরের গুহ রোডস্থ বনশ্রী নার্সারি থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে স্ট্যাব সাগরকে নিয়ে পুলিশ শহরের গুহরোডে বনশ্রী নার্সারিতে অভিযানকালে সাধারণ মানুষজন স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময় রাস্তার দু’পাশে শত শত উৎসুক জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমায়। ওই সড়কে পুলিশের নিরাপত্তাজনিত কারণে কড়াকড়ি থাকায় কেউ তার ধার ঘেঁষতে পারেনি। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের গুহরোডে বনশ্রী নার্সারির পাশে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মৌলভীবাজার জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘নটর ডেম কলেজের ছাত্র অন্তরকে স্ট্যাপিং করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল সাগর।’ সে স্ট্যাব সাগর নামে শ্রীমঙ্গলে পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে কিশোর গ্যাংস্টারের প্রধান স্ট্যাব সাগরের যে আতঙ্ক ছিল তাকে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় তেলিয়াপাড়ার সুরমা নোহাটি বাজারের পাশে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শ্রীমঙ্গল শহরের গুহ রোডের বনশ্রী নার্সারি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তাদের যে ব্যবহৃত অস্ত্র, বিভিন্ন সময় যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতো সেগুলো আমরা উদ্ধার করি। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং তদন্ত করে দেখছি কারা এই কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। বাকি আরো যাদের জড়িত পাওয়া যাবে; তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, যে ছেলেটিকে তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে স্ট্যাব সাগরের বন্ধু। তার নাম দ্বীপ সাগর (১৮)। বাড়ি চুনারুঘাটের দেউন্দি চা বাগানের বস্তিতে। তার বাবা অসিত রঞ্জন দেব। বর্তমানে ক্যাথলিক মিশন রোডের বাসিন্দা। কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান স্ট্যাব সাগর অন্তরের ঘটনার পর থেকে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে তার বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তার আত্মীয়ের বাসায় ওঠে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে কিশোর গ্যাংস্টারের প্রধান স্ট্যাব সাগরের যে আতঙ্ক ছিল তাকে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় তেলিয়াপাড়ার সুরমা নোহাটি বাজারের পাশে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শ্রীমঙ্গল শহরের গুহ রোডের বনশ্রী নার্সারি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তাদের যে ব্যবহৃত অস্ত্র, বিভিন্ন সময় যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতো সেগুলো আমরা উদ্ধার করি। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং তদন্ত করে দেখছি কারা এই কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। বাকি আরো যাদের জড়িত পাওয়া যাবে; তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, যে ছেলেটিকে তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে স্ট্যাব সাগরের বন্ধু। তার নাম দ্বীপ সাগর (১৮)। বাড়ি চুনারুঘাটের দেউন্দি চা বাগানের বস্তিতে। তার বাবা অসিত রঞ্জন দেব। বর্তমানে ক্যাথলিক মিশন রোডের বাসিন্দা। কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান স্ট্যাব সাগর অন্তরের ঘটনার পর থেকে শ্রীমঙ্গল ছেড়ে তার বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে তার আত্মীয়ের বাসায় ওঠে।