তারকা সাক্ষাতকার
রমিজ বলেন ‘সাকিবের দুর্ভাগ্য’
ইশতিয়াক পারভেজ, লন্ডন থেকে
৭ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশকে হারানোর পর যেন পাকিস্তানের ক্রিকেট গ্রেটদের স্বস্তির নিঃশ্বাস। তাদের বুকে যেন পাথর চেপেছিল অজানা ভয়ে। এমনকি পাকিস্তানের সংবাদকর্মীদের মাঝেও যেন এক রকম স্বস্তি। সাকিব আল হাসান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন প্রেসবক্স ছেড়ে তারা বার বার বাইরে যাচ্ছিলেন। করছিলেন অস্থির পায়চারি। এক সংবাদকর্মীতো বলেই ফেললেন, ‘সাকিব আউট না হলে কিছু বলতে পারবেনা।’ টাইগারদের ভুলে শেষ পর্যন্ত জিতেছে পাকিস্তান। নিজেদের গুটিয়ে রাখা দলটির সাবেক ক্রিকেটাররাও এবার মন খুলে কথা বলতে শুরু করলেন। তবে সমালোচনাও করছিলেন নিজ দলের। কারণ জিতেও তারা ছিটকে গেছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের লীগ পর্ব থেকেই। নিজ দেশের কয়েকটি টিভিকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে বেশ সরব ছিলেন রমিজ রাজা। সেই সময় দৈনিক মানবজমিনের অনুরোধে পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার কথা বলেন বাংলাদেশ দল নিয়েও। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: বাংলাদেশের এই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রমিজ রাজা: এখন পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স তাতে বাংলাদেশ দারুণ সম্মানই অর্জন করেছে। তারা বিশ্বকাপে নেই এখন, কিন্তু তারা যেভাবে খেলেছে তা আসলেই দুর্দান্ত ছিল। আমি বলবো সাকিবই আসল তারকা। ৬ বা ৭ থেকে নিজেকে তিনে নম্বর পজিশনে তুলে এনে দারুণ করেছেন। আমি বলবো দারুণ প্রত্যাবর্তন। তবে তার দুর্ভাগ্য যে টপ অর্ডার থেকে কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি।
প্রশ্ন: তাহলে কি সাকিবকে দুর্ভাগাই বললেন?
রমিজ রাজা: বলতেই হয়, যখন একজন ক্রিকেটার এমন পারফরম্যান্স করে যায় আর তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো কেউ থাকে না তাকে দুর্ভাগা বলতেই হয়। মুশফিক কিছুটা সাপোর্ট দিয়েছে, কিন্তু তামিম পারেনি। এক কথায় টপ ও মিডল অর্ডারে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি। ও একাই লড়াই করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ঘটনা। আমি বলবো সে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনের ‘ডিএনএ’ ছিল। ও একা হাতেই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রশ্ন: সাকিব বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করতে পেরেছে বলে মনে করেন?
রমিজ রাজা: অবশ্যই সে পেরেছে। সে বিশ্বকাপে অবাক করতে পেরেছে অবশ্যই। তার ধারাবাহিকতা দিয়ে সত্যি দারুণ খেলেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ঘাটতি দেখছেন কোথায়?
রমিজ রাজা: আমি বলবো সবচেয়ে বড় ঘাটতি ছিল ফিল্ডিংয়ে। এখানে বেশকিছু ক্যাচ ছেড়েছে তারা। তারা চাইলে মাঠে আরো বেশি তৎপর থাকতে পারতো অ্যাথলেটদের মতো। তারা কিছু এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছেড়েছে তাতে বড় খেসারতই দিতে হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে আরো উন্নতির দরকার। বিশেষ করে এই ধরনের টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে ফিল্ডিংয়ে উন্নতির প্রয়োজন।
প্রশ্ন: ২০১৫ বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার সমান ম্যাচ জিতেও রেস থেকে ছিটকে পড়েছে। আপনি মনে করেন কি নিয়মের কারণেই এমন হলো?
রমিজ রাজা: আমি মনে করিনা এটি নিয়মের কারণে। সবাই প্রথম থেকেই বলছিল বাংলাদেশ দারুণ দল। তাই এইভাবে ছিটকে যাওয়ায় আসলে সবাই অবাকই হচ্ছে। বিশেষ করে যেভাবে তারা শেষ ম্যাচে খেই হারিয়েছে সেটিতে ভক্তরা আরো বেশি অবাক হয়েছে। তবে তারা সঠিক পথেই আছে। আমি আবারো বলবো ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এছাড়াও এখনো কিছু দ্রুত গতির বোলারের প্রয়োজন আছে। বিষয়গুলোতে নজর দিলে তারা সামনে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: ফরম্যাটকে দায়ী করবেন?
রমিজ রাজা: না, না আমি মনে করিনা। এই ধরনের ফরম্যাটে শেষ পর্যন্ত যেতে হলে ধারাবাহিত খেলতেই হবে। যসেটি করতে পারেনি বলেই তারা পারেনি। সত্যি কথা বলতে কি এই ধরনের টুর্নামেন্টে তিনটি জয় যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন: জিতেও পাকিস্তানের ছিটকে পড়া কীভাবে দেখছেন ?
রমিজ রাজা: অবশ্যই দুঃখজনক। তারা যতটা ম্যাচ জিতেছে তাও বড় বড় দলের বিপক্ষে। তাদের এই আসরে থাকার কথা ছিল। আমি বলবো পাকিস্তান বোর্ডকে আরো চিন্তা করতে হবে ইয়াং স্টারদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। দেখেন আজ (শুক্রবার) যদি তারা বাবর আজম ও ইমামুল হককে না খেলাতো তাহলে পাকিস্তান জিততেই পারতো না। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে কেন মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলিয়েছে তাতেও আমি অবাক। শোয়েব বিদায় বলেছেন, এখন হাফিজকেও বিদায় বলে দেয়া উচিত। এবার তরুণরা সামনে আসুক।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের এই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রমিজ রাজা: এখন পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স তাতে বাংলাদেশ দারুণ সম্মানই অর্জন করেছে। তারা বিশ্বকাপে নেই এখন, কিন্তু তারা যেভাবে খেলেছে তা আসলেই দুর্দান্ত ছিল। আমি বলবো সাকিবই আসল তারকা। ৬ বা ৭ থেকে নিজেকে তিনে নম্বর পজিশনে তুলে এনে দারুণ করেছেন। আমি বলবো দারুণ প্রত্যাবর্তন। তবে তার দুর্ভাগ্য যে টপ অর্ডার থেকে কোনো ধরনের সাহায্য পায়নি।
প্রশ্ন: তাহলে কি সাকিবকে দুর্ভাগাই বললেন?
রমিজ রাজা: বলতেই হয়, যখন একজন ক্রিকেটার এমন পারফরম্যান্স করে যায় আর তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো কেউ থাকে না তাকে দুর্ভাগা বলতেই হয়। মুশফিক কিছুটা সাপোর্ট দিয়েছে, কিন্তু তামিম পারেনি। এক কথায় টপ ও মিডল অর্ডারে কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি। ও একাই লড়াই করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও একই ঘটনা। আমি বলবো সে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনের ‘ডিএনএ’ ছিল। ও একা হাতেই সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করেছে।
প্রশ্ন: সাকিব বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করতে পেরেছে বলে মনে করেন?
রমিজ রাজা: অবশ্যই সে পেরেছে। সে বিশ্বকাপে অবাক করতে পেরেছে অবশ্যই। তার ধারাবাহিকতা দিয়ে সত্যি দারুণ খেলেছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের ঘাটতি দেখছেন কোথায়?
রমিজ রাজা: আমি বলবো সবচেয়ে বড় ঘাটতি ছিল ফিল্ডিংয়ে। এখানে বেশকিছু ক্যাচ ছেড়েছে তারা। তারা চাইলে মাঠে আরো বেশি তৎপর থাকতে পারতো অ্যাথলেটদের মতো। তারা কিছু এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছেড়েছে তাতে বড় খেসারতই দিতে হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে আরো উন্নতির দরকার। বিশেষ করে এই ধরনের টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে ফিল্ডিংয়ে উন্নতির প্রয়োজন।
প্রশ্ন: ২০১৫ বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার সমান ম্যাচ জিতেও রেস থেকে ছিটকে পড়েছে। আপনি মনে করেন কি নিয়মের কারণেই এমন হলো?
রমিজ রাজা: আমি মনে করিনা এটি নিয়মের কারণে। সবাই প্রথম থেকেই বলছিল বাংলাদেশ দারুণ দল। তাই এইভাবে ছিটকে যাওয়ায় আসলে সবাই অবাকই হচ্ছে। বিশেষ করে যেভাবে তারা শেষ ম্যাচে খেই হারিয়েছে সেটিতে ভক্তরা আরো বেশি অবাক হয়েছে। তবে তারা সঠিক পথেই আছে। আমি আবারো বলবো ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এছাড়াও এখনো কিছু দ্রুত গতির বোলারের প্রয়োজন আছে। বিষয়গুলোতে নজর দিলে তারা সামনে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: ফরম্যাটকে দায়ী করবেন?
রমিজ রাজা: না, না আমি মনে করিনা। এই ধরনের ফরম্যাটে শেষ পর্যন্ত যেতে হলে ধারাবাহিত খেলতেই হবে। যসেটি করতে পারেনি বলেই তারা পারেনি। সত্যি কথা বলতে কি এই ধরনের টুর্নামেন্টে তিনটি জয় যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন: জিতেও পাকিস্তানের ছিটকে পড়া কীভাবে দেখছেন ?
রমিজ রাজা: অবশ্যই দুঃখজনক। তারা যতটা ম্যাচ জিতেছে তাও বড় বড় দলের বিপক্ষে। তাদের এই আসরে থাকার কথা ছিল। আমি বলবো পাকিস্তান বোর্ডকে আরো চিন্তা করতে হবে ইয়াং স্টারদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। দেখেন আজ (শুক্রবার) যদি তারা বাবর আজম ও ইমামুল হককে না খেলাতো তাহলে পাকিস্তান জিততেই পারতো না। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে কেন মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলিয়েছে তাতেও আমি অবাক। শোয়েব বিদায় বলেছেন, এখন হাফিজকেও বিদায় বলে দেয়া উচিত। এবার তরুণরা সামনে আসুক।