বাংলাদেশ কর্নার
‘আমি ভালো করলে হয়তো সেমিফাইনাল সম্ভব হতো’
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এবারের আসরের আগ পর্যন্ত ওয়ানডেতে ২৫০০ রান করেছেন তামিম ইকবাল। গড় ৫৭.০৬। ইংল্যান্ডে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ছিলেন সফল। কিন্তু বিশ্বকাপে চিত্র বদলে গেলো তামিম ইকবালের। আসরে ৮ ইনিংসে কেবল ১ ফিফটিতে ২৯.৩৭ গড়ে তামিমের সংগ্রহ ২৩৭ রান। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, বলছেন নিজেই। বলেন ‘আমি ভালো করলে হয়তো সেমিফাইনাল সম্ভব হতো।’
শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল বলেন, ব্যর্থ হয়েছি। সরাসরি বলি বা যেভাবেই বলি, আমি ব্যর্থ হয়েছি। দলের বা নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। দুঃখজনক হলো যে, আমি খারাপ ব্যাটিং করিনি। কিন্তু বড় স্কোর পাইনি। শেষ ম্যাচটিতেই কেবল সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছি। যতক্ষণ উইকেটে ছিলাম, নিয়ন্ত্রণ হারাইনি কখনোই। কিন্তু হুট করেই আউট হয়ে গেছি।
এতদিন ধরে যে মান ধরে রেখেছি, সেই বিচারে এটি অবশ্যই ব্যর্থ টুর্নামেন্ট আমার জন্য। এখন আমাকে পথ খুঁজতে হবে কীভাবে এখান থেকে বের হতে পারি। আগেও সেটি করতে পেরেছি। আবার না পারার কারণ নেই।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ইনিংসে দুই ফিফটিতে তামিমের সংগ্রহ ছিল ১৭৬ রান। কিন্তু বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন একটি মাত্র। তাহলে সমস্যাটা কি তার টেকনিকে? তামিম ইকবাল বলেন, ‘যখন একজন ব্যাটসম্যান রানে থাকে না, তখন এসব প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমার নিজের মনেও প্রশ্ন জেগেছিল যে কোথাও ভুল করছি নাকি। তখন ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। নিল (ম্যাকেঞ্জি) বলেছেন, সত্যিই যদি তোমার টেকনিক্যাল সমস্যা থাকতো, তাহলে তোমাকে বলতে পারতাম, কাজ করতে পারতাম!’
মনস্তাত্ত্বিক কোনো কারণ কি তাহলে ছিল? তামিম বলেন, এটাই ছিল বড় কারণ। বিশেষ করে প্রথম তিন ম্যাচে আমি নিজের ওপর অনেক চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। আমার শুধু মনে হচ্ছিল, ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটি যেন ফিরে না আসে। কিন্তু আদতে সেটিই হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। এই সিরিজে নিজেকে ফিরে পেতে চান তামিম। তিনি বলেন, গত বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজটি আমার অসাধারণ কেটেছিল। এবার সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আমার চেষ্টা থাকবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যক্তিগত ৯ রানে রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলে দেন তামিম ইকবাল। পরে ম্যাচজয়ী ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত। আর ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত ২২ রানে উইকেট খোয়ান তামিম। এরকম ক্যাচ মিস নিজের ব্যাটিং বা অন্য কিছুতে কতটা প্রভাব ফেলে? তামিম বলেন, আমার এসব প্রভাব ফেলে না। পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচেও যদি আমি আবার ক্যাচ মিস করতাম, তার পরদিনই আরেকটা খেলা থাকতো, ওই বোলার আমাকেই ফিল্ডিংয়ে চাইবে ওই পজিশনে। সেই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। আমি জানি, ওই ক্যাচ মিসের কারণে অনেক ধরনের অনেক কিছু হয়েছে। এরপর চাইলে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমি সহজেই নিরাপদ একটি ফিল্ডিং পজিশন বেছে নিতে পারতাম। কারও কিছু বলার ছিল না। কিন্তু আমি একটি ব্যাপার মনে করেছি, আমি যদি ওই পজিশন থেকে সরে যাই, তাহলে আর কখনও ওই পজিশনে দাঁড়াতে পারবো না। মনে ভয় ঢুকে যাবে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আমি একই পজিশনে ছিলাম। মাঠের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে দৌড়ে ক্যাচিং পজিশনেই ছিলাম। পৃথিবীতে এমন কোনো ফিল্ডার নেই ক্যাচ ছাড়েনি।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভালো হয়নি। এ প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন, এখানে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে, সন্দেহ নেই। এই দলে বেশ ক’জন ভালো ফিল্ডার আছে। তবে ভালো ফিল্ডারদের প্রায় সবারই কিছু না কিছু চোট সমস্যা ছিল। তাদেরকে আড়াল করার জন্য সবাইকে অনেক কিছু করতে হয়েছে। ভালো ফিল্ডাররা ফিট থাকলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো আমাদের ফিল্ডিং। তবে কোনো সন্দেহ নেই, এই বিশ্বকাপে ফিল্ডিংটা ভালো হলে ফল অন্যরকম হতে পারতো।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে সাকিবের নৈপুণ্যটা অবিশ্বাস্য। তামিম বলেন, সাকিবকে আমি গত ১৩-১৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে দেখছি। এবার তাকে এতটা কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি যে আমি বলছিলাম, ও যেন ভালো করে। এই বিশ্বকাপে ওর যা পারফরম্যান্স, যা অর্জন, এক কথায় তা ‘ফেনোমেনাল’। কোনো কিছুর সঙ্গেই এই পারফরম্যান্সের তুলনা চলে না। এ রকম পারফরম্যান্সের পর তার দলের সেমিতে খেলার কথা। এটিই হতাশার যে আমরা পারিনি। আমার খারাপ লাগছে যে আমি অবদান রাখতে পারলে হয়তো সেমিফাইনাল সম্ভব হতো।
শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল বলেন, ব্যর্থ হয়েছি। সরাসরি বলি বা যেভাবেই বলি, আমি ব্যর্থ হয়েছি। দলের বা নিজের কাছে নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। দুঃখজনক হলো যে, আমি খারাপ ব্যাটিং করিনি। কিন্তু বড় স্কোর পাইনি। শেষ ম্যাচটিতেই কেবল সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছি। যতক্ষণ উইকেটে ছিলাম, নিয়ন্ত্রণ হারাইনি কখনোই। কিন্তু হুট করেই আউট হয়ে গেছি।
এতদিন ধরে যে মান ধরে রেখেছি, সেই বিচারে এটি অবশ্যই ব্যর্থ টুর্নামেন্ট আমার জন্য। এখন আমাকে পথ খুঁজতে হবে কীভাবে এখান থেকে বের হতে পারি। আগেও সেটি করতে পেরেছি। আবার না পারার কারণ নেই।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ইনিংসে দুই ফিফটিতে তামিমের সংগ্রহ ছিল ১৭৬ রান। কিন্তু বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন একটি মাত্র। তাহলে সমস্যাটা কি তার টেকনিকে? তামিম ইকবাল বলেন, ‘যখন একজন ব্যাটসম্যান রানে থাকে না, তখন এসব প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমার নিজের মনেও প্রশ্ন জেগেছিল যে কোথাও ভুল করছি নাকি। তখন ব্যাটিং কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। নিল (ম্যাকেঞ্জি) বলেছেন, সত্যিই যদি তোমার টেকনিক্যাল সমস্যা থাকতো, তাহলে তোমাকে বলতে পারতাম, কাজ করতে পারতাম!’
মনস্তাত্ত্বিক কোনো কারণ কি তাহলে ছিল? তামিম বলেন, এটাই ছিল বড় কারণ। বিশেষ করে প্রথম তিন ম্যাচে আমি নিজের ওপর অনেক চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। আমার শুধু মনে হচ্ছিল, ২০১৫ বিশ্বকাপের সময় যে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটি যেন ফিরে না আসে। কিন্তু আদতে সেটিই হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। এই সিরিজে নিজেকে ফিরে পেতে চান তামিম। তিনি বলেন, গত বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজটি আমার অসাধারণ কেটেছিল। এবার সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আমার চেষ্টা থাকবে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যক্তিগত ৯ রানে রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলে দেন তামিম ইকবাল। পরে ম্যাচজয়ী ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত। আর ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত ২২ রানে উইকেট খোয়ান তামিম। এরকম ক্যাচ মিস নিজের ব্যাটিং বা অন্য কিছুতে কতটা প্রভাব ফেলে? তামিম বলেন, আমার এসব প্রভাব ফেলে না। পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচেও যদি আমি আবার ক্যাচ মিস করতাম, তার পরদিনই আরেকটা খেলা থাকতো, ওই বোলার আমাকেই ফিল্ডিংয়ে চাইবে ওই পজিশনে। সেই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। আমি জানি, ওই ক্যাচ মিসের কারণে অনেক ধরনের অনেক কিছু হয়েছে। এরপর চাইলে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমি সহজেই নিরাপদ একটি ফিল্ডিং পজিশন বেছে নিতে পারতাম। কারও কিছু বলার ছিল না। কিন্তু আমি একটি ব্যাপার মনে করেছি, আমি যদি ওই পজিশন থেকে সরে যাই, তাহলে আর কখনও ওই পজিশনে দাঁড়াতে পারবো না। মনে ভয় ঢুকে যাবে। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আমি একই পজিশনে ছিলাম। মাঠের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে দৌড়ে ক্যাচিং পজিশনেই ছিলাম। পৃথিবীতে এমন কোনো ফিল্ডার নেই ক্যাচ ছাড়েনি।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভালো হয়নি। এ প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল বলেন, এখানে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে, সন্দেহ নেই। এই দলে বেশ ক’জন ভালো ফিল্ডার আছে। তবে ভালো ফিল্ডারদের প্রায় সবারই কিছু না কিছু চোট সমস্যা ছিল। তাদেরকে আড়াল করার জন্য সবাইকে অনেক কিছু করতে হয়েছে। ভালো ফিল্ডাররা ফিট থাকলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো আমাদের ফিল্ডিং। তবে কোনো সন্দেহ নেই, এই বিশ্বকাপে ফিল্ডিংটা ভালো হলে ফল অন্যরকম হতে পারতো।
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে সাকিবের নৈপুণ্যটা অবিশ্বাস্য। তামিম বলেন, সাকিবকে আমি গত ১৩-১৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে দেখছি। এবার তাকে এতটা কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি যে আমি বলছিলাম, ও যেন ভালো করে। এই বিশ্বকাপে ওর যা পারফরম্যান্স, যা অর্জন, এক কথায় তা ‘ফেনোমেনাল’। কোনো কিছুর সঙ্গেই এই পারফরম্যান্সের তুলনা চলে না। এ রকম পারফরম্যান্সের পর তার দলের সেমিতে খেলার কথা। এটিই হতাশার যে আমরা পারিনি। আমার খারাপ লাগছে যে আমি অবদান রাখতে পারলে হয়তো সেমিফাইনাল সম্ভব হতো।