বাংলাদেশ কর্নার
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যায়নি টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজার। আট ম্যাচ বল করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন তিনি। বোলিংয়ে যেমন তার ব্যর্থতা দলকে ভুগিয়েছে, তেমনি ব্যাট হাতে তামিমের নিষ্প্রভতা ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলেছে প্রতিটি ম্যাচে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। আট ম্যাচে বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ১৪ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ৮ জন বোলিং করে সবাই উইকেট পেয়েছেন। এই আটজন মিলে প্রতিপক্ষের ৫৯ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সক্ষম হয়েছেন। সর্বাধিক ২০ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের ১৫ জনের স্কোয়াডে ১৪ জনই খেলেছেন। একমাত্র আবু জায়েদ রাহী কোনো ম্যাচ খেলেই ফেরত এসেছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন ১৪ জন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মোট রান ২১৪৫। ৩টি সেঞ্চুরি, ১১টি ফিফটি। ২১০টি চার ও ২১টি ছক্কা মেরেছেন। এদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ৪৫.৩৬ শতাংশ এসেছে সাকিব ও মুশফিকের ব্যাটে। এই দুজন ছাড়া আর কেউ সেঞ্চুরি পাননি, লিটন এক ইনিংসে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের সাতটিই খেলেছেন সাকিব। বাংলাদেশের ৫ ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল একশ’র উপরে। আরো ৫ জনের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ৯০ থেকে ৯৮। দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল আশির ঘরে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে তামিম ইকবালের (৭১.৬৪) নিচে কেবল একজনই ছিলেন মোস্তাফিজ (১৪.২৮)। রান তোলায় সাকিব বিশ্বকাপের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যেই শীর্ষে। ১১ নম্বরে মুশফিক। ত্রিশে তামিম। তেঁত্রিশে মাহমুদুল্লাহ। ৪৩-এ লিটন দাস। ৪৭-এ সৌম্য সরকার।
প্রথমদিকে ছন্দে না থাকলেও আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে দশ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই কাটার মাস্টার। শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।
১৩ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ভালোই প্রমাণ দিয়েছেন সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। এই দুই পেসারকে যে ভাবে সহায়তা করার কথা ছিল মাশরাফির, সেটা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আট ম্যাচে মাত্র একটিতে ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৫৬ ওভার বোলিং করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি। সুবিধা করতে পারেননি রুবেল হোসেনও। দুই ম্যাচে ১৭ ওভার বোলিং করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ইকোনমি রেটও তার সবচেয়ে বেশি। ওভার প্রতি ৭.৭০ রান দিয়েছেন রুবেল। বাংলাদেশের মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওভারপ্রতি ৫.০৮ রান দিয়ে সাত ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছেন এই স্পিনার।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং
খেলোয়াড় ম্যাচ রান স্টা. সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
সাকিব ৮ ৬০৬ ৯৬.০৩ ১২৪* ৮৬.৫৭ ২/৫
মুশফিক ৮ ৩৬৭ ৯২.৬৭ ১০২* ৫২.৪২ ১/২
তামিম ৮ ২৩৫ ৭১.৬৪ ৬২ ২৯.৩৭ ০/১
মাহমুদুল্লাহ ৭ ২১৯ ৬৯ ৮৯. ৭৫ ৪৩.৮০ ০/১
লিটন ৫ ১৮৪ ১১০.১৭ ৯৪* ৪৬.০০ ০/১
সৌম্য ৮ ১৬৬ ১০১.২১ ৪২ ২০.৭৫ ০/০
মোসাদ্দেক ৭ ১১৭ ১০৬.৩৬ ৩৫ ১৯.৫০ ০/০
সাইফুদ্দিন ৭ ৮৭ ১২০.৮৩ ৫১* ২৯.০০ ০/১
মিঠুন ৩ ৪৭ ৮৩.৯২ ২৬ ১৫.৬৬ ০/০
মিরাজ ৭ ৩৭ ১১২.১২ ১২ ১২.৩৩ ০/০
সাব্বির ২ ৩৬ ৯৭.৭৯ ৩৬ ১৮.০০ ০/০
মাশরাফি ৮ ৩৪ ৯৭.১৪ ১৫ ৮.৫০ ০/০
রুবেল ২ ৯ ৮১.৮১ ৯ ৯.০০ ০/০
মোস্তাফিজ ৮ ১ ১৪.২৮ ১ ০.৩৩ ০/০
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং
খেলোয়াড় ম্যাচ ওভার মেডেন ইকো. রান উই. সেরা
মোস্তাফিজ ৮ ৭২.১ ২ ৬.৭০ ৪৮৪ ২০ ৫/৫৯
সাইফুদ্দিন ৭ ৫৮.০ ২ ৭.১৮ ৪১৭ ১৩ ৩/৭২
সাকিব ৮ ৭৪ ১ ৫.৩৯ ৩৯৯ ১১ ৫/২৯
মিরাজ ৭ ৬৭.০ ০ ৫.০৮ ৩৪১ ৬ ২/৪৭
সৌম্য ৮ ১৪ ২ ৬.৫০ ৯১ ৪ ৩/৫৮
মোসাদ্দেক ৭ ৩৬ ০ ৫.৯৭ ২১৫ ৩ ২/৩৩
মাশরাফি ৮ ৫৬ ০ ৬.৪৪ ৩৬১ ১ ১/৬৮
রুবেল ২ ১৭ ০ ৭.৭০ ১৩১ ১ ১/৪৮
বাংলাদেশের ১৫ জনের স্কোয়াডে ১৪ জনই খেলেছেন। একমাত্র আবু জায়েদ রাহী কোনো ম্যাচ খেলেই ফেরত এসেছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন ১৪ জন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মোট রান ২১৪৫। ৩টি সেঞ্চুরি, ১১টি ফিফটি। ২১০টি চার ও ২১টি ছক্কা মেরেছেন। এদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ৪৫.৩৬ শতাংশ এসেছে সাকিব ও মুশফিকের ব্যাটে। এই দুজন ছাড়া আর কেউ সেঞ্চুরি পাননি, লিটন এক ইনিংসে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৪টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের সাতটিই খেলেছেন সাকিব। বাংলাদেশের ৫ ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল একশ’র উপরে। আরো ৫ জনের স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ৯০ থেকে ৯৮। দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল আশির ঘরে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে তামিম ইকবালের (৭১.৬৪) নিচে কেবল একজনই ছিলেন মোস্তাফিজ (১৪.২৮)। রান তোলায় সাকিব বিশ্বকাপের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যেই শীর্ষে। ১১ নম্বরে মুশফিক। ত্রিশে তামিম। তেঁত্রিশে মাহমুদুল্লাহ। ৪৩-এ লিটন দাস। ৪৭-এ সৌম্য সরকার।
প্রথমদিকে ছন্দে না থাকলেও আস্তে আস্তে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করতে না পারলেও ভারত পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে দশ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই কাটার মাস্টার। শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে উইকেট শিকারিদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী এই পেসার।
১৩ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যের ভালোই প্রমাণ দিয়েছেন সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। এই দুই পেসারকে যে ভাবে সহায়তা করার কথা ছিল মাশরাফির, সেটা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আট ম্যাচে মাত্র একটিতে ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৫৬ ওভার বোলিং করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি। সুবিধা করতে পারেননি রুবেল হোসেনও। দুই ম্যাচে ১৭ ওভার বোলিং করে মাত্র এক উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ইকোনমি রেটও তার সবচেয়ে বেশি। ওভার প্রতি ৭.৭০ রান দিয়েছেন রুবেল। বাংলাদেশের মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওভারপ্রতি ৫.০৮ রান দিয়ে সাত ম্যাচে ছয় উইকেট পেয়েছেন এই স্পিনার।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং
খেলোয়াড় ম্যাচ রান স্টা. সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
সাকিব ৮ ৬০৬ ৯৬.০৩ ১২৪* ৮৬.৫৭ ২/৫
মুশফিক ৮ ৩৬৭ ৯২.৬৭ ১০২* ৫২.৪২ ১/২
তামিম ৮ ২৩৫ ৭১.৬৪ ৬২ ২৯.৩৭ ০/১
মাহমুদুল্লাহ ৭ ২১৯ ৬৯ ৮৯. ৭৫ ৪৩.৮০ ০/১
লিটন ৫ ১৮৪ ১১০.১৭ ৯৪* ৪৬.০০ ০/১
সৌম্য ৮ ১৬৬ ১০১.২১ ৪২ ২০.৭৫ ০/০
মোসাদ্দেক ৭ ১১৭ ১০৬.৩৬ ৩৫ ১৯.৫০ ০/০
সাইফুদ্দিন ৭ ৮৭ ১২০.৮৩ ৫১* ২৯.০০ ০/১
মিঠুন ৩ ৪৭ ৮৩.৯২ ২৬ ১৫.৬৬ ০/০
মিরাজ ৭ ৩৭ ১১২.১২ ১২ ১২.৩৩ ০/০
সাব্বির ২ ৩৬ ৯৭.৭৯ ৩৬ ১৮.০০ ০/০
মাশরাফি ৮ ৩৪ ৯৭.১৪ ১৫ ৮.৫০ ০/০
রুবেল ২ ৯ ৮১.৮১ ৯ ৯.০০ ০/০
মোস্তাফিজ ৮ ১ ১৪.২৮ ১ ০.৩৩ ০/০
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং
খেলোয়াড় ম্যাচ ওভার মেডেন ইকো. রান উই. সেরা
মোস্তাফিজ ৮ ৭২.১ ২ ৬.৭০ ৪৮৪ ২০ ৫/৫৯
সাইফুদ্দিন ৭ ৫৮.০ ২ ৭.১৮ ৪১৭ ১৩ ৩/৭২
সাকিব ৮ ৭৪ ১ ৫.৩৯ ৩৯৯ ১১ ৫/২৯
মিরাজ ৭ ৬৭.০ ০ ৫.০৮ ৩৪১ ৬ ২/৪৭
সৌম্য ৮ ১৪ ২ ৬.৫০ ৯১ ৪ ৩/৫৮
মোসাদ্দেক ৭ ৩৬ ০ ৫.৯৭ ২১৫ ৩ ২/৩৩
মাশরাফি ৮ ৫৬ ০ ৬.৪৪ ৩৬১ ১ ১/৬৮
রুবেল ২ ১৭ ০ ৭.৭০ ১৩১ ১ ১/৪৮