বিশ্বজমিন

রাশিয়ার সাবমেরিনে আগুন, ১৪ নাবিকের মৃত্যু

মানবজমিন ডেস্ক

৩ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন

রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে আগুন লেগে নিহত হয়েছেন এর ১৪ নাবিক। ওই সাবমেরিনটি রাশিয়ার জলসীমা পরিমাপ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে ওইসব নাবিক মারা যান বলে জানাচ্ছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ সময় এতে কতজন ক্রু ছিলেন এবং এটি কোন ধরনের সাবমেরিন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায় নি তারা। বলা হয়েছে, আগুন নেভানোর পর সাবমেরিনটিকে সেভেরোমর্স্কে উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাঁটিতে ফেরত নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন একে রাশিয়ার নৌবাহিনীর জন্য বিরাট এক ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন। সাবমেরিনে আগুন লেগে নাবিকদের মৃত্যুর পর অন্য সব কর্মসূচি বাতিল করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন তার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। এরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু সেভেরোমর্স্কে। পুতিন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদবী হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন জয়ী সাতজন ক্যাপ্টেন এবং দুইজন সার্ভিস পার্সোনেল।

বিবিসি লিখেছে, দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাবমেরিনটি ছিল একটি পারমাণবিক মিনি-সাবমেরিন। এটি পারমাণবিক বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া একটি এএস-টুয়েলভ মিনি সাবমেরিন। রুশ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিশেষ অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হয়। বিবিসি সংবাদদাতা উইল ভারনন জানিয়েছেন, এই বিশেষ সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রের নিচে ক্যাবলস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, এ ধরণের সাবমেরিন দিয়ে রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তি করা ও মার্কিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, সাবমেরিন দুর্ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটে তা নয়, কিন্তু রুশ সাবমেরিনে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় সব সময়। ২০০০ সালে পারমাণবিক বিদ্যুতচালিত আরেকটি সাবমেরিনে বিস্ফোরণে ১১৮ জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালেও আরেকটি সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ২০জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। তবে, সাবমেরিন দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে, তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় ডাইভিং পরীক্ষা চালানোর সময় ১২৯ জন নাবিক নিয়ে ডুবে গিয়েছিল ইউএসএস থ্রেশার। ঐ সাবমেরিনের সব যাত্রী মারা গিয়েছিলেন।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status