দেশ বিদেশ

সাঁথিয়ায় ৬ দিনে ৫ লাশ উদ্ধার

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

পাবনার সাঁথিয়াই গত ৬ দিনে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে সাঁথিয়ার করমজা মল্লিকপাড়ার শামীম ফকিরের ৪ বছরের শিশু সন্তান রবিউল হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে স্বজনরা এলাকায় নিখোঁজের মাইকিং করে। বিকালের দিকে শামীমের বাড়ির পাশে টয়লেটের কুয়ার ভেতরে রবিউলের লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। তাকে কাপড় দিয়ে প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শামীমের আরো ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে শামীমের ছোট ভাই শাহিনের স্ত্রী কনা খাতুন যেন মেনে নিতে পারেনি। শামীমের সন্তান রবিউল সম্পত্তির অংশীদার হওয়ার কারণে কনা পরিকল্পিতভাবে রবিউলকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কণাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত মূলক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, শামীম ও শাহিন বৈমাত্রেয় ভাই। এদিকে গত ২৩শে জুন বিকালে সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাট গ্রামে খোরশেদের স্ত্রী ১ সন্তানের জননী মুন্নি (২৪) জমিতে ঘাস মারার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন। জানা যায়, মুন্নির ব্যবহৃত ওড়না বাড়ি থেকে হারিয়ে গেলে প্রতিবেশী ময়লালের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায় সে ঘাস মারার কীটনাশক খেলে গুরুতর অসুস্থ হয়। তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটু সুস্থ হলে বাড়ি আসে। ২ দিন পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ২২শে জুন সন্ধ্যার দিকে সীমান্ত (১৪) নামে একজন মাদ্রাসার ছাত্র বাইসাইকেল নিয়ে তেবাড়ীয়া বাজারে যাওয়ার সময় জাগিয়াতলায় পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে সড়কে ছিটকে পড়ে। মাথায় গুরুতর আঘাত পেলে তাকে পাবনা হাসপাতালে নেয়ার পথে আতাইকুলা বাজারে মারা যায়। সীমান্তের তেবাড়ীয়া গ্রামের মোকবুল হোসেনের ছেলে ও তেবাড়ীয়া দেবিপুর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। ২১শে জনু সকাল ১০টার দিকে পাবনা নগরবাড়ি মহাসড়কে গাঙ্গহাটি ক্লাব বাজারে পাবনা অভিমুখী খোয়াভর্তি একটি ইঞ্জিনচালিত নছিমন গাড়ির সঙ্গে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি শ্যামলী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নছিমনের চালক আবদুল বারেক (২৪) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওইদিন সকালেই উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে মাসুম (১৭) আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাসুমকে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে তার সহপাঠীরা মারপিট করে। দুঃখ, ক্ষোভে মাসুম বৃহস্পতিবার সকালে সবার অজান্তে আমগাছে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে তার পিতা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহমান বলেন, ২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status