ভারত
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পুরস্কার ঘোষিত জেএমবি জঙ্গি গ্রেপ্তার
কলকাতা প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৪:০৭ পূর্বাহ্ন
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পুরস্কার ঘোষিত পলাতক এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। মঙ্গলবার ব্যাঙ্গালুরু থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের ডোড্ডাবল্লপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড হাবিবুর রহমান শেখকে। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই হাবিবুর পলাতক ছিল। তার খোঁজে এনআইএ দশ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। হাবিবুরের নাম রয়েছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটেও। মঙ্গলবারই হাবিবুরকে ব্যাঙ্গালুরুর আদালতে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয়েছে। ব্যাঙ্গালুরু থেকেই গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়ে হয়েছিল জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা জাহিদুল শেখ ওরফে কাওসার ওরফে বোমা মিজান এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে। সেই সময় পালিয়ে গিয়েছিল হাবিবুর। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরেই ব্যাঙ্গালুরু শহরের উপকণ্ঠে বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে মিশে লুকিয়ে ছিল বীরভূমের বোলপুরের মুলকা শান্তিপল্লির বাসিন্দা হাবিবুর।
কাওসারের ঘনিষ্ঠ হাবিবুর জেএমবির অন্য এক শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিনের ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, হাবিবুরকে জেরা করে সালাউদ্দিন সম্পর্কে তথ্য মিলতে পারে। এদিকে সোম ও মঙ্গলবার কলকাতায় ধৃত চার জেএমবি জঙ্গির তিনজনই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপের অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। জেরা করে জানা গেছে, বাংলাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হওয়ায় তারা পালিয়ে ভারতে চলে এসেছে। ধৃত মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা, মামুনুর রশিদ রংপুরের এবং মুহাম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন রাজশাহির বাসিন্দা বলে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। এদের এনআইএ জেরা করবে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে তারা কলকাতায় এসে ধৃত তিন জনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। ধৃতদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিও-সহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ রাজ্য-সহ দেশের নানা জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হতো। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপও চালাতো তারা। জেহাদী সংক্রান্ত প্রচুর ডিজিটাল নথিও পাওয়া গিয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে। ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
কাওসারের ঘনিষ্ঠ হাবিবুর জেএমবির অন্য এক শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহিনের ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, হাবিবুরকে জেরা করে সালাউদ্দিন সম্পর্কে তথ্য মিলতে পারে। এদিকে সোম ও মঙ্গলবার কলকাতায় ধৃত চার জেএমবি জঙ্গির তিনজনই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপের অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। জেরা করে জানা গেছে, বাংলাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হওয়ায় তারা পালিয়ে ভারতে চলে এসেছে। ধৃত মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের বাসিন্দা, মামুনুর রশিদ রংপুরের এবং মুহাম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন রাজশাহির বাসিন্দা বলে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। এদের এনআইএ জেরা করবে। বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও এদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে তারা কলকাতায় এসে ধৃত তিন জনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। ধৃতদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিও-সহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ রাজ্য-সহ দেশের নানা জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হতো। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপও চালাতো তারা। জেহাদী সংক্রান্ত প্রচুর ডিজিটাল নথিও পাওয়া গিয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে। ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।