বাংলারজমিন
মাধবপুরে শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাধবপুরে বায়েজিদ নামে এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে জিনে আছাড় মেরেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে- এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নারাইনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের গাড়িচালক জুনাইদ মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে গতকাল সকালে মাধবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে। গ্রামের সরদার আব্দুল আজিজ জানান, মঙ্গলবার সকালে জানতে পারি জুনাইদের ছেলে মারা গেছে। তাকে জিনে আছর করছে। আবার গালে-মুখে দাগও আছে। তড়িঘড়ি করে তার লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করে তার পরিবার। পুলিশ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। শিশু জুনাইদের দাদা আবু বক্কর জানান, জুনাইদের প্রথম স্ত্রীকে ৫ বছর আগে তালাক দেয়া হয়। ২ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিদ্যাসর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে পান্নাকে বিয়ে করানো হয়। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিলেও নাতি বায়েজিদ আমাদের সঙ্গেই থাকতো। ঘটনার দিন তিনি ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। মঙ্গলবার সকালে তার ছেলের বউ পান্না তাকে ফোন দিয়ে বলে বায়েজিদ অসুস্থ। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে তাকে আবার ফোন দিয়ে বলা হয়, ডাক্তার বলেছেন তারা মৃত শিশু বায়েজিদকে নিয়ে গিয়েছিল। ছেলের বউকে জিজ্ঞাসা করি, কী করে এ ঘটনা হলো? ছেলের বউ তাকে বলেছেন, শিশু বায়েজিদের পাতলা পায়খানা ছিল, তাকে গ্রামের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বায়েজিদের সৎ মা পান্না জানান, সকালে দেখি বায়েজিদ কোনো শব্দ করে না। তখন আমার স্বামীকে ফোন করলে আমার স্বামী বাড়িতে আসে। তখন আমি, আমার স্বামী, দেবর মিলে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে তাকে আবার ফোন দিয়ে বলা হয়, ডাক্তার বলেছেন তারা মৃত শিশু বায়েজিদকে নিয়ে গিয়েছিল। ছেলের বউকে জিজ্ঞাসা করি, কী করে এ ঘটনা হলো? ছেলের বউ তাকে বলেছেন, শিশু বায়েজিদের পাতলা পায়খানা ছিল, তাকে গ্রামের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বায়েজিদের সৎ মা পান্না জানান, সকালে দেখি বায়েজিদ কোনো শব্দ করে না। তখন আমার স্বামীকে ফোন করলে আমার স্বামী বাড়িতে আসে। তখন আমি, আমার স্বামী, দেবর মিলে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।