বাংলাদেশ কর্নার
মাশরাফিদের ফিল্ডিংয়ে কেন বেহালদশা!
ইশতিয়াক পারভেজ,দাউদাম্পটন থেকে
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
বল ধরেও তা থ্রো করতে একটু দেরি করলেন সাকিব আল হাসান! ততক্ষণে ব্যাটসম্যান দ্রুত আরো একটি রান যোগ করে ফেললেন স্কোরবোর্ডে। মাহমুদুল্লাহর হাতে ফসকে বল চলে গেল দূরে। বেশির ভাগই ক্যাচ ফেলে করছেন দলের সর্বনাশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও করেছেন এমন ভুল । দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং সবশেষ অস্ট্রেলিয়া- সবগুলোতেই দলের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছে তাই। অধিনায়ক নিজেই সতর্ক করেছিলেন, যে এমন ২ টি ৪টি করে রান বাড়তে বাড়তে বোঝা হয়ে যায়। ইংলিশরা সেই বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে করেছিল ৩৮৬ রান। টাইগারদের একই ভুলে অস্ট্রেলিয়া করেছে ৩৮১ রান। দু’টি ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত আফসোস করে হারতে হয়েছে দলকে। বিশেষ করে অজিদের বিপক্ষে ৩৩৩ রান করে মাত্র ৪৮ রানের ব্যাবধানে হারে দল। ফিল্ডিংটা ভালো হলে হয়তো আরো অনেক কম রানেই থামানো যেতে অজিদের। যাই হোক ফিল্ডিং ভালো না হলে জয় যে কঠিন তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে জিততে হলে, বড় টিমের সঙ্গে ভালো খেলতে হলে আমাদেরকে টিম হয়ে খেলতে হবে। আমি মনে করি বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং খুব ভালো হচ্ছে। মেইন প্লেয়ার যারা ওরা ফর্মে আছে, এটা ভালো কথা । ফিল্ডিংয়ে আমাদের যে স্ট্যান্ডার্ড এখনও আমি মনে করি ৮০ ভাগ করতে পারছি। ২০ পারসেন্ট ল্যাকিং ধরা পড়ছে।’
কেন এমন বাজে ফিল্ডিং আকমরা খান কিছু না বললেও অনুমান করে নেয় যায় সহজেই। সেই মে মাসে সিরিজ খেলতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তিব্র শীতে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৭টি ম্যাচ খেলেছে তারা। সেখান থেকে এসে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে কোন বিশ্রাম ছাড়াই। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আছে খেলার মধ্যেই। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যু ছুটে বেড়াচ্ছে দল। এখানে শীত কম নয় তার উপর যোগ হয়েছে বৃষ্টিও। এছাড়াও বিশ্বকাপে টিকে থাকার চাপতো আছেই। সব মিলিয়ে বেশ পরিশ্রান্তই মনে হচ্ছে মাশরাফির দলকে। এছাড়াও দলে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আছেন ইনজুরিতে। যে কারণে ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটাররা মাঠে খুব দরকার না হলে ঝুঁকি নিবেন না সেটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বোলারদের অবস্থাও ভালো নয়। বেশির ভাগই আছেন ইনজুরিতে। এই নিয়ে আকরাম বলেন, ‘বোলাররা এমন উইকেটে খুব কম খেলেছে। তাতে সেভাবে অভ্যাস কম। আমাদের যে পাঁচ বোলার সবারই কিন্তু কিছু না কিছু ইনজুরির সমস্যা আছে। শেষ ম্যাচে সাইফুদ্দিন খেলতে পারল না। মোসাদ্দেক মাঝে এসে কিছু ওভার বোলিং করে দেয় তাকেও আমরা মিস করেছি। তারপরও আমরা খুব ভালো খেলছি। এভাবে যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি তাহলে অচিরেই আমরা আরও শক্তিশালী দলে পরিণত হবো।’
কেন এমন বাজে ফিল্ডিং আকমরা খান কিছু না বললেও অনুমান করে নেয় যায় সহজেই। সেই মে মাসে সিরিজ খেলতে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তিব্র শীতে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৭টি ম্যাচ খেলেছে তারা। সেখান থেকে এসে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে কোন বিশ্রাম ছাড়াই। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আছে খেলার মধ্যেই। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যু ছুটে বেড়াচ্ছে দল। এখানে শীত কম নয় তার উপর যোগ হয়েছে বৃষ্টিও। এছাড়াও বিশ্বকাপে টিকে থাকার চাপতো আছেই। সব মিলিয়ে বেশ পরিশ্রান্তই মনে হচ্ছে মাশরাফির দলকে। এছাড়াও দলে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই আছেন ইনজুরিতে। যে কারণে ইনজুরি আক্রান্ত ক্রিকেটাররা মাঠে খুব দরকার না হলে ঝুঁকি নিবেন না সেটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বোলারদের অবস্থাও ভালো নয়। বেশির ভাগই আছেন ইনজুরিতে। এই নিয়ে আকরাম বলেন, ‘বোলাররা এমন উইকেটে খুব কম খেলেছে। তাতে সেভাবে অভ্যাস কম। আমাদের যে পাঁচ বোলার সবারই কিন্তু কিছু না কিছু ইনজুরির সমস্যা আছে। শেষ ম্যাচে সাইফুদ্দিন খেলতে পারল না। মোসাদ্দেক মাঝে এসে কিছু ওভার বোলিং করে দেয় তাকেও আমরা মিস করেছি। তারপরও আমরা খুব ভালো খেলছি। এভাবে যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি তাহলে অচিরেই আমরা আরও শক্তিশালী দলে পরিণত হবো।’