বাংলারজমিন
ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় শ্যালিকাকে হত্যা ছেলের অপকর্মে আত্মহত্যা পিতার
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যাকারী ভগ্নিপতি নাঈম ইসলাম (২৭)কে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে আটক করা হয় তাকে। নাঈম পুলিশকে জানিয়েছে- ধর্ষণের পর চিৎকার শুরু করায় শ্যালিকা তামান্না আক্তার (১৫)কে হত্যা করে সে। এদিকে শনিবার ভোরে ছেলের অপকর্মের ঘটনা শুনে লোকলজ্জায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈমের পিতা সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বসু মিয়া। গত ১৭ই জুন তামান্না তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৯শে জুন রাতে স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ও শিশু কন্যা জুন্নাতকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করার পর শ্যালিকা তামান্নাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তার দুলাভাই নাঈম। ধর্ষণের পর তামান্না চিৎকার শুরু করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নাঈম। পরদিন সকালে সে পালিয়ে যায়। পালিয়ে নাঈম অষ্টগ্রামে তার মামা শফিক মিয়ার বাড়িতে গাঢাকা দেয়ার চেষ্টা করে। সোর্সের মাধ্যমে নাঈমের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরে তার মামার বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জানান, নাঈম আমাদের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আমরা আশা করছি সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে। এদিকে ছেলের এ অপকর্মের ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে শনিবার ভোরে জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈমের বাবা বসু মিয়া। সকালে নবীনগর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।