বিশ্বজমিন
গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে দায়ী করা সেই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৩:৩২ পূর্বাহ্ন
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে ভয়াবহ মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গায় দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাট রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা ফাঁস করা এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সঞ্জিব ভাট নামে ওই কর্মকর্তাকে ৩০ বছর পুরোনো এক খুনের মামলায় এই সাজা দেওয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
সঞ্জিব ভাট গুজরাট দাঙ্গার পর অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি সরকারী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে হিন্দুদের। ওই দাঙ্গায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম। তবে মোদি সবসময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
সঞ্জিব ভাট যেই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন সেটি ১৯৮৯ সালের একটি মামলা। পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তখন ওই দাঙ্গায় সস্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু এদের একজন মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। ওই ব্যক্তির পরিবার দাবি করেন, ভাট ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্যাতনের কারণেই তিনি মারা যান।
সঞ্জিব ভাটের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছে গুজরাট রাজ্যের একটি নিন্ম আদালত। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
সঞ্জিব ভাট ও তার পরিবার অবশ্য বহুদিন ধরে দাবি করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণেই সরকার তাকে টার্গেট করেছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ আবার বলছে, মোদিকে ফাঁসাতে প্রমাণ বিকৃত করেছিলেন সঞ্জিব ভাট।
২০০২ সালে ট্রেনে করে যাওয়ার পথে আগুণে নিহত হয়েছিলেন ৬০ জন হিন্দু পূণ্যার্থী। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সেটিই ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা।
ট্রেনে আগুণ লাগার কারণ কখনই জানা যায়নি। কিন্তু হিন্দু গোষ্ঠীদের অভিযোগ, ওই আগুণ দিয়েছে মুসলিম প্রতিবাদকারীরা। যদিও পূর্বেকার তদন্তে বলা হয়, ট্রেনে আগুন লেগেছে দুর্ঘটনাক্রমে।
ওই ঘটনার সময় গুজরাট পুলিশের তদন্ত ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন সঞ্জিব ভাট। তার বক্তব্য, ওই পদে থাকায় দাঙ্গার আগে ও দাঙ্গার সময় প্রচুর তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তখন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকাও তিনি জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সঞ্জিব ভাটকে। ২০১৫ সালে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়। ২০১১ সালে অবশ্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই দাঙ্গায় সস্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে মোদিকে রেহাই দেয়।
সঞ্জিব ভাট গুজরাট দাঙ্গার পর অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি সরকারী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে হিন্দুদের। ওই দাঙ্গায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম। তবে মোদি সবসময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
সঞ্জিব ভাট যেই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন সেটি ১৯৮৯ সালের একটি মামলা। পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তখন ওই দাঙ্গায় সস্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু এদের একজন মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। ওই ব্যক্তির পরিবার দাবি করেন, ভাট ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্যাতনের কারণেই তিনি মারা যান।
সঞ্জিব ভাটের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছে গুজরাট রাজ্যের একটি নিন্ম আদালত। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
সঞ্জিব ভাট ও তার পরিবার অবশ্য বহুদিন ধরে দাবি করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণেই সরকার তাকে টার্গেট করেছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ আবার বলছে, মোদিকে ফাঁসাতে প্রমাণ বিকৃত করেছিলেন সঞ্জিব ভাট।
২০০২ সালে ট্রেনে করে যাওয়ার পথে আগুণে নিহত হয়েছিলেন ৬০ জন হিন্দু পূণ্যার্থী। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সেটিই ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা।
ট্রেনে আগুণ লাগার কারণ কখনই জানা যায়নি। কিন্তু হিন্দু গোষ্ঠীদের অভিযোগ, ওই আগুণ দিয়েছে মুসলিম প্রতিবাদকারীরা। যদিও পূর্বেকার তদন্তে বলা হয়, ট্রেনে আগুন লেগেছে দুর্ঘটনাক্রমে।
ওই ঘটনার সময় গুজরাট পুলিশের তদন্ত ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন সঞ্জিব ভাট। তার বক্তব্য, ওই পদে থাকায় দাঙ্গার আগে ও দাঙ্গার সময় প্রচুর তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তখন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকাও তিনি জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সঞ্জিব ভাটকে। ২০১৫ সালে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়। ২০১১ সালে অবশ্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই দাঙ্গায় সস্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে মোদিকে রেহাই দেয়।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]