প্রথম পাতা
রাজীবের দুই ভাইকে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের দুই ভাইকে আগামী ২ মাসের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ক্ষতি পূরনের ২৫ লাখ টাকা বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে তিনটি নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এক. যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে কোনো গণপরিবহন যাত্রী তুলতে পারবে না, স্টপেজ ছাড়া রাস্তায় গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। দুই. চালকরা মাদক সেবন করে কিনা তার জন্য নিয়মিতভাবে ডোপ টেস্ট করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা ও সংরক্ষিত এলাকায় অন্য কোনো পরিবহন হর্ন বাজাতে পারবে না।
রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রাজীবের ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, এভাবে আর কারো ভাই যেন না হারায়। ভাই আর কখনো ফিরে আসবে না, তবে সড়কে যেন শৃঙ্খলা ফিরে আসে। আমার বাবা-মা ছিল না। রাজীব ভাই ছিলেন আমার অভিভাবক। আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন তিনি নিয়মতি আমাকে গণিত ও ইংরেজি পড়াতেন। আমি এখন সেসব থেকে বঞ্চিত।
ওদিকে আদালত গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার সময় চোখ এবং ডোপ (মাদক গ্রহণ করার) পরীক্ষা করাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ইউনির্ভাসিটিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও সংরক্ষিত আবাসিক এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া গাড়ির হর্ন না বাজানো। রাজধানীজুড়ে যত্র-তত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী উঠানো নামানো যাবে না। বেপরোয়া গাড়ি চলছে কি না তা সিসিটিভির মাধ্যমে টিহ্নিত করা। রাজধানী সড়কজুড়ে যেসব পরিবহন রয়েছে, তা একটি কোম্পানির অধীনে নিয়ে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় পরিচালনা করতে হবে।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে কলেজছাত্র রাজীবের। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। হাইকোর্ট এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল জারিসহ রাজীবের চিকিৎসার খরচ দুই বাস মালিক বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহনের নির্দেশ দেন। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আদালত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে তিনটি নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। এক. যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে কোনো গণপরিবহন যাত্রী তুলতে পারবে না, স্টপেজ ছাড়া রাস্তায় গণপরিবহনের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। দুই. চালকরা মাদক সেবন করে কিনা তার জন্য নিয়মিতভাবে ডোপ টেস্ট করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা ও সংরক্ষিত এলাকায় অন্য কোনো পরিবহন হর্ন বাজাতে পারবে না।
রায়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন রাজীবের ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাপ্পী। তিনি বলেন, এভাবে আর কারো ভাই যেন না হারায়। ভাই আর কখনো ফিরে আসবে না, তবে সড়কে যেন শৃঙ্খলা ফিরে আসে। আমার বাবা-মা ছিল না। রাজীব ভাই ছিলেন আমার অভিভাবক। আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম তখন তিনি নিয়মতি আমাকে গণিত ও ইংরেজি পড়াতেন। আমি এখন সেসব থেকে বঞ্চিত।
ওদিকে আদালত গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার সময় চোখ এবং ডোপ (মাদক গ্রহণ করার) পরীক্ষা করাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ইউনির্ভাসিটিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও সংরক্ষিত আবাসিক এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া গাড়ির হর্ন না বাজানো। রাজধানীজুড়ে যত্র-তত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী উঠানো নামানো যাবে না। বেপরোয়া গাড়ি চলছে কি না তা সিসিটিভির মাধ্যমে টিহ্নিত করা। রাজধানী সড়কজুড়ে যেসব পরিবহন রয়েছে, তা একটি কোম্পানির অধীনে নিয়ে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রাস্তায় পরিচালনা করতে হবে।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে কলেজছাত্র রাজীবের। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। হাইকোর্ট এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল জারিসহ রাজীবের চিকিৎসার খরচ দুই বাস মালিক বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহনের নির্দেশ দেন। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব।