দেশ বিদেশ
কবি সুফিয়া কামাল যখন গুগল ডুডল
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
‘হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়,
বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি
দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি?
বাতাবি নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
দখিনা সমির তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?’
কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী ছিল গতকাল। এ উপলক্ষে বিশেষ ডুডল বানায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। বুধবার রাত ১২টার পর থেকে গুগল বাংলাদেশের ডোমেইন হোমপেজে দেখা যাচ্ছে বাংলার কবি সুফিয়া কামালকে। উল্লেখ্য, বিশেষ দিবস, ব্যক্তি এবং ঘটনার স্মরণে গুগল তাদের হোমপেজে বিশেষ লোগো প্রকাশ করে, যা ডুডল হিসেবে পরিচিত। এর আগেও অবশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশেষ দিবস, ব্যক্তি এবং ঘটনার স্মরণে ডুডল প্রকাশ করেছিল গুগল। নারী জাগরণের কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালে ২০শে জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুমিল্লার বাসিন্দা ছিলেন। সেই সময় বাঙালি মুসলিম নারীদের গৃহবন্দি জীবন কাটাতে হতো। স্কুল-কলেজে পড়ার কোনো সুযোগ তো ছিলই না। পরিবারে বাংলা ভাষার চর্চা এক প্রকার নিষিদ্ধই ছিল। সেই বৈরী পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান নি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থানপতনের মধ্যে স্ব-শিক্ষা লাভ করেন। বাংলা শেখেন মূলত তাঁর মায়ের কাছে।
নানাবাড়িতে তাঁর বড় মামার একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। মায়ের উৎসাহ ও সহায়তায় এ লাইব্রেরির বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। স্বামী সৈয়দ নেহাল অপেক্ষাকৃত আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি সুফিয়া কামালকে সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দেন। সাহিত্য ও সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে সুফিয়ার যোগাযোগও ঘটিয়ে দেন নেহাল। বেগম রোকেয়া থেকে অনুপ্রেরণা এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের মতো গুণীদের সান্নিধ্যে শানিত হন সুফিয়া। তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ সে সময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তার সাহিত্যচর্চাও চলতে থাকে। ১৯৩৭ সালে তার গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখে দেন কাজী নজরুল ইসলাম, যা রবি ঠাকুরদের মতো বিদগ্ধজনের প্রশংসা কুড়ায়। দেশবিভাগের পূর্বে সুফিয়া কামাল নারীদের জন্য প্রকাশিত সাময়িকী ‘বেগম’-এর সম্পাদক ছিলেন। নেহালের আকস্মিত মৃত্যুর পর আর্থিক সমস্যায় নিপতিত হয়ে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৩৯ সালে কামালউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ১৯৯৯ সালের ২০শে নভেম্বর সুফিয়া কামাল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়, যে বিরল সম্মান বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম লাভ করেন। তার নামানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোস্টেলের নামকরণ হয়- কবি সুফিয়া কামাল হল।
বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি
দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি?
বাতাবি নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
দখিনা সমির তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?’
কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী ছিল গতকাল। এ উপলক্ষে বিশেষ ডুডল বানায় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। বুধবার রাত ১২টার পর থেকে গুগল বাংলাদেশের ডোমেইন হোমপেজে দেখা যাচ্ছে বাংলার কবি সুফিয়া কামালকে। উল্লেখ্য, বিশেষ দিবস, ব্যক্তি এবং ঘটনার স্মরণে গুগল তাদের হোমপেজে বিশেষ লোগো প্রকাশ করে, যা ডুডল হিসেবে পরিচিত। এর আগেও অবশ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশেষ দিবস, ব্যক্তি এবং ঘটনার স্মরণে ডুডল প্রকাশ করেছিল গুগল। নারী জাগরণের কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালে ২০শে জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কুমিল্লার বাসিন্দা ছিলেন। সেই সময় বাঙালি মুসলিম নারীদের গৃহবন্দি জীবন কাটাতে হতো। স্কুল-কলেজে পড়ার কোনো সুযোগ তো ছিলই না। পরিবারে বাংলা ভাষার চর্চা এক প্রকার নিষিদ্ধই ছিল। সেই বৈরী পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান নি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থানপতনের মধ্যে স্ব-শিক্ষা লাভ করেন। বাংলা শেখেন মূলত তাঁর মায়ের কাছে।
নানাবাড়িতে তাঁর বড় মামার একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। মায়ের উৎসাহ ও সহায়তায় এ লাইব্রেরির বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। স্বামী সৈয়দ নেহাল অপেক্ষাকৃত আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি সুফিয়া কামালকে সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহ দেন। সাহিত্য ও সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে সুফিয়ার যোগাযোগও ঘটিয়ে দেন নেহাল। বেগম রোকেয়া থেকে অনুপ্রেরণা এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের মতো গুণীদের সান্নিধ্যে শানিত হন সুফিয়া। তার প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ সে সময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তার সাহিত্যচর্চাও চলতে থাকে। ১৯৩৭ সালে তার গল্পের সংকলন ‘কেয়ার কাঁটা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’র মুখবন্ধ লিখে দেন কাজী নজরুল ইসলাম, যা রবি ঠাকুরদের মতো বিদগ্ধজনের প্রশংসা কুড়ায়। দেশবিভাগের পূর্বে সুফিয়া কামাল নারীদের জন্য প্রকাশিত সাময়িকী ‘বেগম’-এর সম্পাদক ছিলেন। নেহালের আকস্মিত মৃত্যুর পর আর্থিক সমস্যায় নিপতিত হয়ে কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং ১৯৩৯ সালে কামালউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ১৯৯৯ সালের ২০শে নভেম্বর সুফিয়া কামাল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়, যে বিরল সম্মান বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম লাভ করেন। তার নামানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোস্টেলের নামকরণ হয়- কবি সুফিয়া কামাল হল।