ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

মাকে চিন্তামুক্ত রাখতেই আঘাত পেয়েও মাঠ ছাড়েননি শহিদি

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার ইনিংসের ৩০তম ওভারে ইংলিশ পেসার মার্ক উডের দ্রুতগতির একটি বাউন্সার মাথা বরাবর গিয়ে লাগে আফগান ব্যাটসম্যান হাশমতউল্লাহ শহিদির হেলমেটে। বল লাগার পরপরই মাঠে শুয়ে পড়েন তিনি। মাঠে মেডিকেল টিম আসার পর পুরোপুরি সুস্থ্য না হয়েও খেলার জন্য উঠে যান শহিদি। তার এই সাহসিকতার কারণে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা তালি দিলেও অনেকেই চমকে যান। এতো শক্তিশালী একটা বাউন্সারের আঘাত খাওয়ার পর এত তাড়াতাড়ি কীভাবে উঠে গেলেন এই ব্যাটসম্যান?
ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছেন শহিদি। তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের কারণে আমি খুব তাড়াতাড়ি উঠে গিয়েছিলাম। গত বছর আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। তাই মাকে কোন দুশ্চিন্তা দিতে চাইনি। আমার পুরো পরিবার এই খেলাটি দেখেছে। এমনকি আমার বড় ভাই মাঠে বসেই এই খেলা দেখছিল। আমার জন্য তাদেরকে কোনো চিন্তায় ফেলতে চাই না।’
বাউন্সারের শিকার হওয়ার পর আইসিসি চিকিৎসক এবং ফিজিওরা শহিদিকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে যান এই বামহাতি ব্যাটসম্যান।
শহিদি বলেন, ‘আমার হেলমেট মাঝখান থেকে ভেঙে গিয়েছিল। আইসিসির চিকিৎসক এবং আমাদের ফিজিও আমার কাছে আসার পর বললেন, চল উঠে যাই। আমি তাদেরকে বলেছি, এই মুহূর্তে আমি আমার দলকে ছেড়ে চলে যেতে পারি না। আমাকে প্রয়োজন আছে দলের। তাই আমি আমার ব্যাটিং চালিয়ে গেছি।’
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির আসর শেফিল্ড শিল্ডের এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের পেসার শন অ্যাবটের এক বাউন্সারে বল কানের নিচে লাগলে সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে শুয়ে অজি ব্যাটসম্যান ফিল হিউজ। সেই যে অজ্ঞান হলেন এরপর আর উঠতেই পারেননি তিনি। হাসপাতালে দুই দিন কোমায় থাকার পর অকালেই মৃত্যুবরণ করেন অমিত সম্ভাবনাময়ী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে ঢাকার মাঠে বলের আঘাতে প্রাণ হারান ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status