বাংলারজমিন
কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্টদূত রবার্ট মিলার। গতকাল রোহিঙ্গা শিশুদের আঁকা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। পরে র্যালিতে যোগ দিতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। মধুরছড়া থেকে কুতুপালং রেজি. ক্যাম্পে আসার পথে একদল রোহিঙ্গা ‘আমরা শরণার্থী জীবন যাপন করতে চাই না, আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই’ স্লোগান দেয়। প্রায় আধ ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গাদের বুঝিয়ে শান্ত করার পর রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কুতুপালং রেজি. ক্যাম্পে বৈঠকে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানে রোহিঙ্গারা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেন যে তাদের দাবি দাওয়াসমূহ তিনি যথাযথ স্থানে পৌছে দেবেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে অংশ নেয়া উখিয়ার কুতুপালং রেজি. ক্যাম্পের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি মো: ইউনুচ আরমান বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের আমেরিকা সরকার ৭ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে এবং আরও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এর জবাবে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে আমি বলেছি, আমাদের সহযোগিতার দরকার নেই। রোহিঙ্গাদের জন্য দেয়া মার্কিন ডলার বিভিন্ন এনজিও নানা খাতে যত্রতত্র খরচ করছে। সব সাহায্য রোহিঙ্গাদের হাতে পৌছাচ্ছে না যথাসময়ে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এই দেশে থাকলে যেকোনো সময়ে স্থানীয়দের সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা এই দেশে থাকতে আসিনি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের জায়গা দেয়ায় আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি মার্কিন সরকারের প্রতিনিধির কাছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এই দেশে থাকলে যেকোনো সময়ে স্থানীয়দের সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা এই দেশে থাকতে আসিনি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের জায়গা দেয়ায় আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি মার্কিন সরকারের প্রতিনিধির কাছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার পুনরায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।