বাংলারজমিন

মৌলভীবাজারে ৯ কোটি টাকার ভূমি উদ্ধারে নামছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে

২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

 নিজেদের বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধারে নামছে মৌলভীবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর এ বিষয়ে তৎপর হয়েছেন তারা। এখন দ্রুত এগিয়ে চলছে বেদখল হওয়া ভূমি চিহ্নিতকরণের কাজ। এই কাজ শেষ হলেই শিগগিরই উদ্ধার অভিযানে নামবেন তারা। দীর্ঘদিন পর প্রভাবশালীদের কবলে থাকা এসব বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধারে উদ্যোগী হওয়ায় ও টনক নড়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলায় প্রায় ৯ কোটি টাকার ৩১৩টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী জানান এসব বেদখল হওয়া অবৈধ স্থাপনার পরিসংখ্যান তৈরি করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করতে আমাদের এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে। তিনি বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকায় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে চলতি বছরের ১১ই মার্চ ও ২৪শে এপ্রিল পৃথকভাবে ৩১৩টি স্থাপনার তালিকা পাঠিয়েছি। ৩১৩টি স্থাপনায় পাউবোর প্রায় ২ একর ভূমি অবৈধ দখলদারদের হাতে রয়েছে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি শতকের দাম সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা হলে ২শ শতাংশ বা দুই একরের দাম পড়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকে জানা যায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুপ্রকল্প এলাকার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের অবৈধভাবে দখলকৃত বেশকিছু জায়গা ও রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার ও বাঁধবাজার-খেয়াঘাটবাজার (ওয়াপদা) সড়কের উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে শতাধিক ভূমি দখলকারী জবরদখল করে আধাপাকা স্থাপনাসহ পাকা স্থাপনা পর্যন্ত তৈরি করেছে। আবার এসব ইউনিয়নের কোনো কোনো বাজারেও পাউবোসহ সরকারি ভূমি দখল করে পাকা দালান তৈরি করে গুটিকয়েক লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। এদিকে এসব জায়গার জবরদখলকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ এলাকায় হামলা মামলার ঘটনাও ঘটছে। তবে সরজমিন দেখা যায় ওয়াপদা সড়ক সংস্কার হওয়াকালীন সময়ে যারা পাউবোর কাছে সড়কের পাশের জমি বিক্রি করেছেন তাদের তখন বলা হয়েছিল ওয়াপদার অনুমতি নিয়ে কেবল তারাই ওখানে কৃষি কিংবা মাছ চাষ করতে পারবেন। বর্তমানে এসব সাবেক ভূমি মালিক ছাড়াও অনেকে জোরপূর্বক দখল করে মৎস্য চাষ করেছেন। কিংবা ঘরবাড়ি ও দোকানঘর তৈরি করে অবৈধ দখল করেছেন। সাবেক ওই ভূমি মালিকরা জানিয়েছেন আমাদের বন্দবস্তের অধিকার থাকা সত্ত্বেও তারা তা পাচ্ছেন না বরং অনেকে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে জলাশয় দখল করে আছেন। তারা জানিয়েছেন, এসব জলাশয়ে প্রকৃত উপকারভোগী অর্থাৎ সাবেক ভূমি মালিকদের মৎস্য কিংবা কৃষিক্ষেতের জন্য বন্দবস্ত দিলেই ধীরে ধীরে বন্ধ হবে পাউবোর অবৈধ ভূমি দখল। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী গতকাল বিকালে মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধারের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। গেল রমজান ও বর্তমানে বন্যার ঝুঁকি থাকায় মানবিক কারণে আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করছি। তবে খুব শিগগিরই আমরা উদ্ধার অভিযানে নামছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status