দেশ বিদেশ

মিয়ানমারের বেশির ভাগ রোহিঙ্গাই এখন বাংলাদেশে -ইউএনএইচসিআর

কূটনৈতিক রিপোর্টার

২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন

 বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ শরণার্থী জনগোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যার বেশীরভাগই এখন বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে। বুধবার এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। সরকারি তথ্যনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে, যার বড় অংশ বর্মী বর্বরতার মুখে টিকতে না পেরে প্রাণে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্টের পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গত ৭০ বছরের ইতিহাসে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, যুদ্ধ, নির্যাতন ও সংঘর্ষে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা ২০১৮ সালে ৭০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বুধবার প্রকাশিত ইউএনএইচসিআর-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ গ্লোবাল ট্রেন্ডস’-এ বলা হয়, ’১৮ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ, যা ২০১৭ সালেও প্রায় একই ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বছর (২০১৮) শেষে মিয়ানমারের শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় দেয়া দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় ৯ লাখ ৬ হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা দক্ষিণ এশিয়ার ওই দেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরের স্থানে পর্যায়ক্রমে রয়েছে মালয়েশিয়া (১ লাখ ১৪ হাজার ২০০ জন), থাইল্যান্ড (৯৭ হাজার ৬০০ জন) এবং ভারত (১৮ হাজার ৮০০ জন)। এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে বাংলাদেশের সাথে আরও বেশি সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আরও একবার প্রমাণিত হলো যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সরকার ও বাংলাদেশের জনগণ উদারতা দেখিয়েছে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status