বাংলারজমিন
ঝিনাইদহে মুয়াজ্জিন হত্যার নেপথ্যে পরকীয়া
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
রাজু আহম্মেদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই মুয়াজ্জিন সোহেল রানাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। বুধবার সকালে হত্যাকারী রাজু আহম্মেদকে সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, কালীগঞ্জের বলরামপুর গ্রামের হাকিম আলীর মেয়ে জুলিয়া ও কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বকতিয়ার আলীর ছেলে সোহেল রানা চাপালী মাদরাসায় লেখাপড়া করতো। এ সময় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে গত ৪ মাস আগে জুলিয়ার বাবা-মা তাকে সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ’র সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও জুলিয়ার সঙ্গে সোহেলের সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করতো। এ ছাড়াও তাদের মাঝে অনৈতিক সম্পর্ক চলতে থাকে। বিষয়টি স্বামী রাজু আহম্মেদ জানতে পারে। সোমবার স্বামী রাজু আহম্মেদ স্ত্রী জুলিয়ার মাধ্যমে মোবাইলে মুয়াজ্জিন সোহেল রানাকে ডেকে আনে। প্রেমিকার ফোন পেয়ে রাজু জুলিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজু ও তার ২ সহযোগী সোহেল রানাকে ধরে নিয়ে মাঠের পাট ক্ষেতে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে পাটক্ষেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিংকু হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান অভিযান চালিয়ে রাজুর স্ত্রী জুলিয়া খাতুনকে আটক করে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহতের মোবাইল ফোন। অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মঙ্গলবার সকালে পাটক্ষেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিংকু হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান অভিযান চালিয়ে রাজুর স্ত্রী জুলিয়া খাতুনকে আটক করে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহতের মোবাইল ফোন। অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।