বাংলারজমিন

উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে হত্যার উড়ো চিঠি

ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে

২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন

 উড়ো চিঠিতে মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে ওই উড়ো চিঠিতে যার নাম ব্যবহার করা হয়েছে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি তার উপর আনিত ওই ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন। সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদকে হত্যার হুমকিস্বরূপ উড়ো চিঠিতে মো. তাজুল ইসলাম (লুলু)কে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ভুক্তভোগী জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের হাজী আব্দুন নূর-এর ছেলে তাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন- গত কয়েক দিন থেকে বেশ কয়েকটি মুদ্রণ, অনলাইন সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম জড়িয়ে একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়। ওই সংবাদে আমাকে ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার হিজামা অ্যান্ড রুকিয়া সেন্টারকে জড়িয়ে একটি চিঠির বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদকে একটি উড়ো চিঠিতে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মর্মে জানানো হয়। সেই চিঠিতে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আমাকে ও হত্যার পরিকল্পনার স্থান হিসেবে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার হিজামা অ্যান্ড রুকিয়া সেন্টারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি উড়ো চিঠি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য শত্রুপক্ষ এই ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন- ওই চিঠিতে বলা হয়েছে আমি আইএসআই’র সংগঠক। যার সঙ্গে আমি ও আমার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু চিঠির ভেতরে আমার নাম ব্যবহার করে একজন সংসদ সদস্যকে হত্যার হুমকি প্রদানের পর আমি সামাজিক ও আইনগতভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা আমাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। যার কারণে আমি সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন- আমার সঙ্গে পূর্ব বিরোধ আছে আমার গোষ্ঠীর চাচাত ভাই রিপন বখশসহ কয়েকজনের সঙ্গে। টাকা পয়সা ও ব্যবসা নিয়ে এই বিরোধ। তবে কারা আমাকে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করেছে তা আমি স্পষ্ট নই। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন- আমার প্রশ্ন হচ্ছে চিঠির প্রেরক সুজন মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জেনেছেন তাহলে তিনি ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি না পাঠিয়ে মুঠোফোনে অথবা সরাসরি সংসদ সদস্যকে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানাতে পারতেন। সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন তার নানা খন্দকার আব্দুস ছালাম ও ছোট ভাই লোকমান আহমদসহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ১৩ই জুন ডাকযোগে উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদকে হত্যার ষড়যন্ত্রের একটি চিঠি শ্রীমঙ্গলস্থ মিশন রোডের বাসার ঠিকানায় আসে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status