বাংলারজমিন
বড়লেখায় লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি
বড়লেখা (মৌলভীবাজার)
২০ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ে লাইনম্যান ও যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। অপরদিকে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের একটি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ১০ হাজার গ্রাহক। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। আরো প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে। এবছর শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। চাহিদার তুলনায় লাইনম্যানের সংখ্যা খুবই কম। বড়লেখা শহর কার্যালয়ে ১২ জন, দাসেরবাজার অভিযোগ কেন্দ্রে ৪ জন, আজিমগঞ্জ (সুজানগর) অভিযোগ কেন্দ্রে ৪ জন ও জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে ৫ জনসহ লাইনম্যান কর্মরত আছেন মাত্র ২৫ জন। সংকট আছে ট্রান্সফরমার ও লাইনের ফিউজ খোলা-লাগানোর যন্ত্র ফোল্ডিং হটিস্টিকেরও। ৫টি ফোল্ডিং হটিস্টিক থাকার কথা। আছে মাত্র দুটি। এইগুলো আবার পুরাতন হওয়ায় কাজ করে না। জরুরি মুহূর্তে বিপাকে পড়ে লাইনম্যানরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ দিয়ে ট্রান্সফরমার ও লাইনের ফিউজ খোলা-লাগানো করে থাকেন। পাহাড় ও হাওর বেষ্টিত এই উপজেলাগুলোতে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে লাইন মেরামত করতেও অনেক সময় লেগে যায়। এতে গ্রাহক সেবা ব্যাহত হয়।
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, ‘আমার এখানে ৪০টি গ্রাম। ৮টি চা বাগান ও বেশ কয়েকটি খাসিয়া পুঞ্জি রয়েছে। লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে শহর থেকে এসে লাইন মেরামত করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। একটা অভিযোগ কেন্দ্র খুব জরুরি। বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘লাইনম্যান সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ও অবগত আছেন। ফোল্ডিং হটিস্টিক দুটি আছে। ওই বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জুড়ীতে আরো একটি অভিযোগ কেন্দ্রের প্রস্তাব পাঠানো আছে। শাহবাজপুরেও একটা দরকার। এতে আমরা ভালো সার্ভিস দিতে পারবো গ্রাহকদের।’
ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন বলেন, ‘আমার এখানে ৪০টি গ্রাম। ৮টি চা বাগান ও বেশ কয়েকটি খাসিয়া পুঞ্জি রয়েছে। লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে শহর থেকে এসে লাইন মেরামত করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। একটা অভিযোগ কেন্দ্র খুব জরুরি। বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘লাইনম্যান সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ও অবগত আছেন। ফোল্ডিং হটিস্টিক দুটি আছে। ওই বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জুড়ীতে আরো একটি অভিযোগ কেন্দ্রের প্রস্তাব পাঠানো আছে। শাহবাজপুরেও একটা দরকার। এতে আমরা ভালো সার্ভিস দিতে পারবো গ্রাহকদের।’