বাংলাদেশ কর্নার
মোস্তাফিজ ৩ উইকেট পেলে হারে না বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ জুন ২০১৯, বুধবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
ম্যাচে মোস্তাফিজ তিন উইকেট পেলে বাংলাদেশ হারে না- সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড রান তাড়া করে টাইগারদের জয়ের পর অটুট রইলো রেকর্ডটি। টনটনে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বল হাতে এক ওভারে জোড়া আঘাত হেনে বাংলাদেশের জন্য টার্গেটটা ধরাছোঁয়ার মধ্যে রাখেন মোস্তাফিজই। আর ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজুর রহমান শোনান নিজের সরল বিশ্লেষণ। সোমবার এক ওভারেই মোস্তাফিজ সাজঘরে ফেরান টাইগারদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ক্যারিবীয় তারকা শিমরন হেটমায়ার ও বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকে। উইকেট খোয়ানোর আগে ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন হেটমায়ার। পরে মোস্তাফিজ তুলে নেন ক্যারিবীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের তারকা শেই হোপের উইকেটও। এতে ৩২১ রানেই থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ম্যাচ শেষে মিক্স জোনে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানও। সেখানে লিটনের কথা শেষে মোস্তাফিজের পালা আসতে শুরুতেই তিনি বলেন, ‘অনেক কথা তো শুনলেনই। আমার কথা আর কী শুনবেন’। যখন স্লগ ওভারের আগ মুহূর্তে বোলিংয়ে এলেন, তখন কী পরিকল্পনা ছিল? এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজের সরলোক্তি , ‘ওই সময় ওরা ঘাঁড়ানো (মার) শুরু করেছিল! আমাকে তখন আক্রমণে এনেছে, আমি চেষ্টা করেছি।’ আন্দ্রে রাসেলের বিপক্ষে মোস্তাফিজের এক ইয়র্কার ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) বিজ্ঞাপন হয়ে রয়েছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বল হাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যান রাসেলের স্টাম্প উপড়ে নেন মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত ইয়র্কারে পরাস্ত রাসেল ক্রিজে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে হন চিতপটাং। রাসেলকে ফেরানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল? সোমবার ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজ বলেন ‘শুধু এ ম্যাচেই নয়, আগেও তাকে (রাসেল) অনেকবার আউট করেছি। ও আমাকে দেখলে একটু অস্বস্তিতে থাকে, আমি সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।’
নিজে কথা কম বলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু পারফরম্যান্সে একটু ঘাটতি হলেই যে কথা ওঠে চারদিকে। ‘মোস্তাফিজের ধার আর আগের মতো নেই’-এ ধরনের কথাও শুনতে হয় তাকে। বাংলাদেশ গত দুই মাসে বাংলাদেশ যে ছয়টি ওয়ানডে জিতেছে, তিনটিতেই দলের সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। একটু খারাপ খেললেই যে চারদিকে গেল গেল রব ওঠে, এসব নিয়ে মোটেও বিচলিত হন না মোস্তাফিজ। বলেন ‘কে কী বলে দেখার দরকার নেই। নিজে ঠিক থাকলে হয়।’ নিজে ঠিক থাকাটা জরুরি তো অবশ্যই। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা কি ঠিক থাকবে বিশ্বকাপে? পারবে সেমিফাইনালে যেতে? মোস্তাফিজের সহজ হিসাব, ‘ভালো খেললে যাবো।’ কাঁধের সার্জারির পর মোস্তাফিজের কিছুটা ধার কমেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু নিজেকে ফিরে পেতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কাটার মাস্টার। এখনও বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ে কম বেশি অবদান রেখেই চলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আর পরিসংখ্যান বলছে, মোস্তাফিজ যে ম্যাচে ৩ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন, সে ম্যাচে কখনই হারেনি বাংলাদেশ। জয়ের হার শতভাগ। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন মোস্তাফিজ। এর মধ্যে ১২ ম্যাচে পেয়েছেন ৩ বা তার বেশি উইকেট। এই ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের অভিষেকটাই ছিল চমক দিয়ে। ২০১৫ সালের জুনে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতেই ৫ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে নেন ৬ উইকেট। ২টি ম্যাচই জিতে বাংলাদেশ, ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের কৃতিত্বও দেখায়। শেষ ওয়ানডেতে মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ২ উইকেট, সে ম্যাচটি হেরে যায় টাইগাররা।
নিজে কথা কম বলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু পারফরম্যান্সে একটু ঘাটতি হলেই যে কথা ওঠে চারদিকে। ‘মোস্তাফিজের ধার আর আগের মতো নেই’-এ ধরনের কথাও শুনতে হয় তাকে। বাংলাদেশ গত দুই মাসে বাংলাদেশ যে ছয়টি ওয়ানডে জিতেছে, তিনটিতেই দলের সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। একটু খারাপ খেললেই যে চারদিকে গেল গেল রব ওঠে, এসব নিয়ে মোটেও বিচলিত হন না মোস্তাফিজ। বলেন ‘কে কী বলে দেখার দরকার নেই। নিজে ঠিক থাকলে হয়।’ নিজে ঠিক থাকাটা জরুরি তো অবশ্যই। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা কি ঠিক থাকবে বিশ্বকাপে? পারবে সেমিফাইনালে যেতে? মোস্তাফিজের সহজ হিসাব, ‘ভালো খেললে যাবো।’ কাঁধের সার্জারির পর মোস্তাফিজের কিছুটা ধার কমেছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু নিজেকে ফিরে পেতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কাটার মাস্টার। এখনও বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ে কম বেশি অবদান রেখেই চলেছেন বাঁহাতি এই পেসার। আর পরিসংখ্যান বলছে, মোস্তাফিজ যে ম্যাচে ৩ বা তার বেশি উইকেট পেয়েছেন, সে ম্যাচে কখনই হারেনি বাংলাদেশ। জয়ের হার শতভাগ। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন মোস্তাফিজ। এর মধ্যে ১২ ম্যাচে পেয়েছেন ৩ বা তার বেশি উইকেট। এই ম্যাচের সবগুলোই জিতেছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের অভিষেকটাই ছিল চমক দিয়ে। ২০১৫ সালের জুনে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতেই ৫ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। পরের ম্যাচে নেন ৬ উইকেট। ২টি ম্যাচই জিতে বাংলাদেশ, ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের কৃতিত্বও দেখায়। শেষ ওয়ানডেতে মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ২ উইকেট, সে ম্যাচটি হেরে যায় টাইগাররা।