দেশ বিদেশ
‘আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানকে দরকার যুক্তরাষ্ট্রের’
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্র চায় পাকিস্তান যাতে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখে। তবে একইসঙ্গে তারা চায় যাতে ইসলামাবাদ জঙ্গিবাদীদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস জি ওয়েলস এ মন্তব্য করেছেন। ওয়াশিংটনে বুধবার ভারতীয় মার্কিন নাগরিকদের এক সমাবেশে পম্পেও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে, আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছি এবং এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে অগ্রহণযোগ্য সমর্থন দেয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যিনি দক্ষিণ এশিয়া অ্যাফেয়ার্স দেখাশোনা করেন, সেই অ্যালিস ওয়েলস বলেছেন, পাকিস্তানের দিকে আমাদের মনোযোগের মূল কারণ হলো আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আমরা তাদের সহায়তা চাই। আমরা আরো চাই যে দেশের ভেতরে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার যে প্রতিশ্রুতির কথা তারা বলেছে, সেটাও যেন তারা পূরণ করে। চলতি মাসের শেষের দিকে ভারত সফরে আসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও।
চীন ও পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারতের স্পর্শকাতর কৌশল নিয়েও কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা এটা বুঝি। আমরা অনুভব করি যে সাগরের এপার থেকে চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা আর সীমান্তের পার থেকে মোকাবিলা করাটা এক নয়।
পাকিস্তানের ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে এশিয়া, প্রশান্ত বিষয়ক পররাষ্ট্র সাবকমিটিকে ওয়েলস বলেন, যাতে তারা এই অঞ্চলের কর্মসূচির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জটিল সম্পর্কগুলোর একটি। অস্ত্রবিস্তার বন্ধের বিষয়েও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান উভয়েই গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উৎপাদন প্রতিরোধের বিষয়ে একই অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানে বেশ কিছু ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ও ডেলিভারি সিস্টেমের উন্নয়নের কারণে সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
ওয়েলস বলেন, আফগানিস্তান নিয়ে সমঝোতার প্রশ্নে আমরা এটা স্বীকার করি যে, পাকিস্তান তালেবানদের আলোচনার অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে, যেটা এ পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত পুলাওয়ামা সন্ত্রাসী হামলা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটা সংকট তৈরি করেছে। তিনি এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মার্কিন কর্মকর্তা আরো জানান, পাকিস্তান সমপ্রতি জিহাদিদের আটক করছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, লস্করে তৈয়বা এবং জয়শে মোহাম্মদের মতো সংগঠনগুলো যতদিন পাকিস্তানের মধ্যে অবাধে কাজ করার সুযোগ পাবে, ততদিন আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতি তারা হুমকিই থেকে যাবে।
চীন ও পাকিস্তানের ব্যাপারে ভারতের স্পর্শকাতর কৌশল নিয়েও কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা এটা বুঝি। আমরা অনুভব করি যে সাগরের এপার থেকে চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা আর সীমান্তের পার থেকে মোকাবিলা করাটা এক নয়।
পাকিস্তানের ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে এশিয়া, প্রশান্ত বিষয়ক পররাষ্ট্র সাবকমিটিকে ওয়েলস বলেন, যাতে তারা এই অঞ্চলের কর্মসূচির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জটিল সম্পর্কগুলোর একটি। অস্ত্রবিস্তার বন্ধের বিষয়েও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান উভয়েই গণবিধ্বংসী অস্ত্রের উৎপাদন প্রতিরোধের বিষয়ে একই অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানে বেশ কিছু ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ও ডেলিভারি সিস্টেমের উন্নয়নের কারণে সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
ওয়েলস বলেন, আফগানিস্তান নিয়ে সমঝোতার প্রশ্নে আমরা এটা স্বীকার করি যে, পাকিস্তান তালেবানদের আলোচনার অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে, যেটা এ পর্যন্ত অর্জিত অগ্রগতির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত পুলাওয়ামা সন্ত্রাসী হামলা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটা সংকট তৈরি করেছে। তিনি এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মার্কিন কর্মকর্তা আরো জানান, পাকিস্তান সমপ্রতি জিহাদিদের আটক করছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, লস্করে তৈয়বা এবং জয়শে মোহাম্মদের মতো সংগঠনগুলো যতদিন পাকিস্তানের মধ্যে অবাধে কাজ করার সুযোগ পাবে, ততদিন আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতি তারা হুমকিই থেকে যাবে।