এক্সক্লুসিভ

বাজেটের আকার নিয়ে যারা গর্ব করে তারা কিছু বোঝে না

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

বাজেটের আকার নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লেবার পার্টি আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, বাজেটের আকার কোনো বিষয় নয়। আকার নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বোঝে বলে আমার মনে হয় না। আকার নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দিকে তাকালে তারা নিজেরাই বুঝবে, বাজেট কত ছোট ছিলো। ধীরে ধীরে তা বেড়েছে। বাজেট প্রতি বছর বাড়ে। স্বৈরাচার সরকারের সময়ও বাজেটের আকার বাড়ে। আকার নিয়ে যারা কথা বলে তারা অজ্ঞ। বাজেটের আকার নিয়ে নয়, মান নিয়ে কথা বলতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, বাজেটে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। একটি গোষ্ঠী সব কিছু করছে। সব দখলে নিয়েছে। যে লোকগুলো আজকে রাষ্ট্রের সার্বিক ক্ষমতা দখল করে আছে তারা তো নিজেদের স্বার্থে বাজেট দেবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে জনগণের কিছু নেই। জনগণের নির্বাচিত সংসদও নেই, সরকারও নেই।

তিনি বলেন, এখন ৬৭ হাজার টাকা মাথাপিছু ঋণ রয়েছে। সামনের বছর তা ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে। যে ঋণের বোঝা তারা জনগণের মাথায় চাপিয়ে দিচ্ছে, তা থেকে জনগণ কিভাবে মুক্ত হবে? সুপরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ৪৫ বছর আগে মাত্র ৪টি গণমাধ্যম রেখে বাকি গণমাধ্যম বন্ধ করেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। ৪৫ বছর পর সেই ভূত আবার চেপেছে তাদের মাথায়। এখন ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু গণমাধ্যম সৃষ্টি করে সবার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীরা আজ সাংবাদিক নাই। তারা নিজেরাই বলে তারা হুকুম তামিল করার কাজ করছে। সেই জন্য অনেক বিবেকবান সাংবাদিক সাংবাদিকতা ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারছে না। দেশে সংবাদ যেন গুরুত্ব না পায় তার জন্য কিছু গণমাধ্যমে ছাঁটাই করা হচ্ছে। আমির খসরু বলেন, সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্কারভাবে লেখা আছে। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম কাজ করবে। কোনো রকম বাঁধা থাকবে না। কিন্তু যেভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও রোধ করা হয়েছে। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status