শেষের পাতা
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে থানায় নির্যাতন চার পুলিশ বরখাস্ত
বগুড়া প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় সোহান বাবু ওরফে আদর (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে থানায় ডেকে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সদর থানা পুলিশ। আহত ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের পর শুক্রবার রাতে তার পিতার কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলো- এসআই মো. আব্দুল জব্বার, এএসআই নিয়ামতউল্লাহ, এএসআই মো. এরশাদ হোসেন এবং কনস্টেবল এনামুল হক। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত বাবুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাবু বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া উটের মোড় এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত বাবুর পিতা সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শহরের গোয়ালগাড়ি এলাকায় আল ফালাহ বহুমুখী নামে একটি সমিতি রয়েছে। সোহান বাবু আদর, সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া মিলে ওই সমিতি পরিচালনা করেন। সমিতির অপর দুই পরিচালক সাথী বেগম ও তার স্বামী বাপ্পির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সদর থানার কনস্টেবল (মুন্সি) এনামুল হক মোবাইল ফোনে বাবুকে থানায় ডেকে নেন।
বাবু থানায় আসলে সদর থানায় এস আই আব্দুল জোব্বার, এএসআই এরশাদ ও মুন্সি এনামুল পাশের একটি কক্ষে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে পাশে একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে ১১ লাখ টাকা দাবি করেন। পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় গভীর রাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় থানায় সাধারণ লোকজন না থাকার সুযোগে পুনরায় বাবুর হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বেদম প্রহার করা হয়।
পুলিশের নির্যাতনে বাবুর কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত রক্তাক্ত হয়ে ফুলে যায়। থানা হাজতে বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ১২টায় এস আই আব্দুল জোব্বার বাবুর পিতা সাইদুর রহমানকে ডেকে তোর ছেলে সুস্থ আছে ভাল আছে এই মর্মে মুচলেকা লিখে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে। পরে বাবুর পিতা মুচলেকা ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে বাবুর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া শহরের কাটনারপাড়া আলোরমেলা স্কুল এলাকার বাসিন্দা। কনস্টেবল এনামুল হক বলেন, আমি সামান্য চড় থাপ্পর মেরেছি।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (সার্বিক) এস এম বদিউজ্জামান জানান, বিষয়টি পুলিশ সুপার মহাদয়কে জানানোর পর তার নির্দেশে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বাবু বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া উটের মোড় এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত বাবুর পিতা সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শহরের গোয়ালগাড়ি এলাকায় আল ফালাহ বহুমুখী নামে একটি সমিতি রয়েছে। সোহান বাবু আদর, সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া মিলে ওই সমিতি পরিচালনা করেন। সমিতির অপর দুই পরিচালক সাথী বেগম ও তার স্বামী বাপ্পির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সদর থানার কনস্টেবল (মুন্সি) এনামুল হক মোবাইল ফোনে বাবুকে থানায় ডেকে নেন।
বাবু থানায় আসলে সদর থানায় এস আই আব্দুল জোব্বার, এএসআই এরশাদ ও মুন্সি এনামুল পাশের একটি কক্ষে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে পাশে একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে ১১ লাখ টাকা দাবি করেন। পুলিশের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় গভীর রাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে নির্যাতন করা হয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় থানায় সাধারণ লোকজন না থাকার সুযোগে পুনরায় বাবুর হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বেদম প্রহার করা হয়।
পুলিশের নির্যাতনে বাবুর কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত রক্তাক্ত হয়ে ফুলে যায়। থানা হাজতে বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ১২টায় এস আই আব্দুল জোব্বার বাবুর পিতা সাইদুর রহমানকে ডেকে তোর ছেলে সুস্থ আছে ভাল আছে এই মর্মে মুচলেকা লিখে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যেতে বলে। পরে বাবুর পিতা মুচলেকা ও ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে বাবুর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী সাথী বানু ও তার স্বামী বাপ্পি মিয়া শহরের কাটনারপাড়া আলোরমেলা স্কুল এলাকার বাসিন্দা। কনস্টেবল এনামুল হক বলেন, আমি সামান্য চড় থাপ্পর মেরেছি।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (সার্বিক) এস এম বদিউজ্জামান জানান, বিষয়টি পুলিশ সুপার মহাদয়কে জানানোর পর তার নির্দেশে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।