খেলা
পরিসংখ্যানে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভারত ৫৪-৭৩ পাকিস্তান
ওয়ানডেতে ভারত-পাকিস্তান প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৭৮ সালে। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ রানে হারিয়েছিল ভারত। এখন পর্যন্ত মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তান। ভারতের ৫৪ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৭৩টি। চার ম্যাচ পরিত্যক্ত।
ভারত ৬-০ পাকিস্তান
বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাত্তাই পায় না পাকিস্তান। পরিসংখ্যান তাই বলে। ১৯৯২ সালে প্রথম সাক্ষাতে হারের পর আরো ৫ বার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে পরাজিত হয়েছে পাকিস্তান। সর্বশেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এখনো পাকিস্তানের কাছে অজেয় ভারত। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালসহ ৫ ম্যাচেই জিতেছে ভারত।
দলীয় সর্বোচ্চ
বিশাখাপত্তমে ২০০৫ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫৬/৯ রান তোলে ভারত। ওয়ানডেতে দুদলের মধ্যকার দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। ম্যাচটিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি ১২৩ বলে ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। ভারত জেতে ৫৮ রানে। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৪৪/৮। করাচিতে ২০০৪ সালে ওই ম্যাচটিতে ৫ রানে হেরেছিল তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৯৩ রান হয়েছিল। যা দুদলের সর্বোচ্চ ম্যাচ এগ্রিগেট।
দলীয় সর্বনিম্ন
১৯৭৮ সালে শিয়ালকোটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৯ রানে অলআউট হয় ভারত। দুদলের মধ্যকার দলীয় সর্বনিম্ন এটি। ম্যাচটিতে পাকিস্তান জেতে ৮ উইকেট। দু্ই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১৬২ রান হওয়ায় এটি দুদলের সর্বনিম্ন ম্যাচ এগ্রিগেট। পাকিস্তানের সর্বনিম্ন ইনিংস ৮৭। মজার ব্যাপার হলো ১৯৮৫ সালে শারজার ওই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত করেছিল মাত্র ১২৫ রান। ইমরান খান নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। পরে কপিল দেব-রবি শাস্ত্রী অল্প পুঁজি নিয়েও বিখ্যাত জয় ছিনিয়ে আনেন।
বড় জয়
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে ১৮০ রানে হারায় পাকিস্তান। রানের ব্যবধানে দুদলের মধ্যকার সবচেয়ে বড় জয়। রানের ব্যবধানে ভারতের বড় ১৪০ রানের। ২০০৮ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপের ম্যাচে ওই জয় পেয়েছিল তারা। আর ভারত-পাকিস্তান উভয় দলই একবার করে ৯ উইকেটে জিতেছে। পাকিস্তানের জয়টি ১৯৯৭ সালে লাহোরে। আর ভারতের জয়টি গত এশিয়া কাপে।
ছোট জয়
১৯৭৮ সালে প্রথম সাক্ষাতে পাকিস্তানকে ৪ রানে হারিয়েছিল ভারত। ওটা রানের ব্যবধানে ভারতের ছোট জয়। ১৯৯১ সালে শারজায় ভারতকেও ৪ রানে হারায় পাকিস্তান। উইকেটের ব্যবধানে ছোট জয় পাকিস্তানের। ১৯৮৬ সালে শারজা ও ২০১৪ সালে ঢাকায় ভারতকে ১ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। ২ উইকেটের ব্যবধানে তারা জিতেছে ৩ বার আর ৩ উইকেটে জিতেছে ৪ বার। ভারত ৩ উইকেটের ব্যবধানে পাকিস্তানকে এখন পর্যন্ত ২ বার হারিয়েছে।
সর্বাধিক রান
শচীন টেন্ডুলকারের। ৬৯ ম্যাচে ৪০.০৯ গড়ে করেছেন ২৫২৬ রান। পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক রান ইনজামাম-উল-হকের। ৬৭ ম্যাচে ৪৩.৬৯ গড়ে ২৪০৩ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর রয়েছেন সাঈদ আনোয়ার (২০০২) ও রাহুল দ্রাবিড় (১৮৯৯)। বর্তমান দলে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বাধিক রান শোয়েব মালিকের। ৪১ ম্যাচে ৪৮.১৬ গড়ে তিনি করেছেন ১৭৮২ রান। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৫ ম্যাচে ৫৫.৯ গড়ে ১২৩০ রান করেছেন।
সর্বাধিক সেঞ্চুরি/হাফসেঞ্চুরি
ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও পাকিস্তানের সালমান বাট উভয়েই ৫টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। তবে শচীনের যেখানে ৬৯ ম্যাচ লেগেছে, বাটের সেখানে লেগেছে মাত্র ২১ ম্যাচ। ৪টি করে সেঞ্চুরি আছে সাঈদ আনোয়ার, ইনজামাম ও শোয়েব মালিকের। সর্বাধিক হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড শচীনের- ১৬টি। এরপর রয়েছেন দ্রাবিড় (১৪), ইনজামাম (১২) , যুবরাজ সিং (১২), মোহাম্মদ ইউসুফ (১২) ও শোয়েব মালিক (১১)।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ
পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ারের ১৯৪। চেন্নাইয়ে ১৯৯৭ সালে বিশ্বরেকর্ড গড় ইনিংস খেলেন তিনি। পরবর্তীতে যা নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন ভেঙে দেন। ভারতের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ বিরাট কোহলির। ২০১২ সালে ঢাকায় ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি।
সর্বাধিক উইকেট
ওয়াসিম আকরামের। পাকিস্তানের সাবেক এই বাঁহাতি পেসার ৪৮ ম্যাচে ২৫.১৫ গড়ে নেন ৬০ উইকেট। এরপর রয়েছেন পাকিস্তানি অফস্পিনার সাকলায়েন মুশতাক (৩৬ ম্যাচে ৫৭), ভারতের লেগস্পিনার অনিল কুম্বলে (৩৪ ম্যাচে ৫৪) ও পাকিস্তানের ডানহাতি পেসার আকিব জাভেদ (৩৯ ম্যাচে ৫৪)।
সেরা বোলিং ফিগার
আকিব জাভেদের ৭/৩৭। শারজায় ১৯৯১ সালে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন জাভেদ। ম্যাচটিতে পাকিস্তান জেতে ৭২ রানে। ভারতের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার সৌরভ গাঙ্গুলির। ১৯৯৭ সালে কানাডার টরন্টোতে মাত্র ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তাতে ১৮২ রানের পুঁজি নিয়েও ৩৪ রানে জেতে ভারত।