বাংলারজমিন
গাজীপুরে টর্চার সেল থেকে যুবক উদ্ধার গ্রেপ্তার ৩
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
মাদক কারবারি ও প্রতারক চক্রের টর্চার সেল থেকে একজন নির্যাতিত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তাদের হেফাজতে থাকা পুলিশের পোশাক, ওয়াকিটকি, মেটাল ডিটেক্টর, ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলো- গাজীপুরের ছোট দেওরা চা বাগান এলাকার আল আমিন (২৫), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মনিরুল ইসলাম (৩২) ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার কহেলা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৩)। তাদের গ্রেপ্তারের সময় ওই বাসা থেকে পুলিশ সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে আল আমিনের স্বজনরা জানালেও পুলিশের দাবি- কোনো টাকা আনা হয়নি এবং অপরাধী ও তাদের স্বজনরা এ ধরনের অবান্তর কথা বলতেই পারে, এমনটা বলেছেন সদর থানার ওসি সমির চন্দ্র সূত্রধর। ওসির দাবি, অভিযান চালানোর সময় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে টের পেয়ে আল আমিনের স্ত্রী টাকা পয়সাসহ অনেক কিছুই দ্রুত সরিয়ে ফেলেছে। অবশ্য আল আমিনের স্ত্রীকেও পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেয়া হয়। এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ক্রাইম শরিফুর রহমান গতকাল সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, জনৈক ব্যক্তির ৯৯৯-এ মোবাইলফোনের প্রেক্ষিতে নগরের সদর থানার চা বাগান এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাসায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আটক রেখে নির্যাতনের শিকার গাইবান্ধার যুবক সবুজ আহম্মেদকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে ইয়াবা, গাঁজা, মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি, রামদা, চাপাতি, ছোরাসহ ১২টি দেশীয় অস্ত্র, ৩টি ওয়াকিটকি সেট, পুলিশের পোশাক, অর্ধডজন সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার ও জব্দ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে। এদিকে টর্চারসেল থেকে উদ্ধার হওয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভাটি বোচাগাড়ী গ্রামের যুবক সবুজ আহম্মেদ ও পুলিশ জানায়, অনলাইনে চাকরির খবর জেনে তিনি গাজীপুরের একটি এজেন্সির মাধ্যমে মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ ও শোরুমে ডিউটি করার মৌখিক চুক্তি করে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি নিয়ে গাজীপুরে আসেন। কথিত চাকরি পাওয়ার পর প্রশিক্ষণের নাম করে তাকে ওই বাসার ভেতরে নেয়া হয়। বাসায় গিয়ে সবুজ পরে বুঝতে পারেন চাকরি নয়, আসলে তিনি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। সবুজের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৪ হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে স্বজনদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। আরো লক্ষাধিক টাকা নেয়ার ফন্দি ছিল তাদের।