শেষের পাতা
গড় আয়ু বেড়ে ৭২.৩
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কিছুটা বেড়ে ৭২.৩ বছর হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর গড় আয়ু বেশি। পুরুষের আয়ু ৭০.৮ বছর ও নারীর আয়ু ৭৩.৮ বছর। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক্স অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের গড় আয়ু বৃদ্ধির বিষয়টি জানান। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার বাংলাদেশের পুরুষের আয়ু ৭০.৮ বছর আর নারী ৭৩.৮ বছরে দাঁড়িয়েছে। ফলে পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে তিন বছর বেশি বাঁচছে বাংলাদেশে। এতে বলা হয়, প্রতি বছরই বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ বছর। এছাড়া ২০১৬ সালে ৭১.৬, ২০১৫ সালে ৭০.৯, ২০১৪ সালে গড় আয়ু ছিলো ৭০.৭ বছর। এর আগে ২০১৩ সালে গড় আয়ু ছিলো ৭০.৪ বছর। ২০০৮ সালে গড় আয়ু ছিলো ৬৬.৮ বছর।
নারীদের গড় আয়ু বেশি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভোগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ। ফলে জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ ও নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ।
এমএসভিএসবি’র জরিপে উঠে এসেছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় বেড়ে ২০১৮-তে ০.?২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮.৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের ৫৪.৬ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছরের ৮.৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ৭.৯ শতাংশ। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ২০১৮ সালে ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ০.০১ শতাংশ কম।
২০১৮ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৯ জন মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে প্রতিবন্ধীতার হার বেশি অর্থাৎ নারীদের চেয়ে পুরুষরা প্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি। ২০১৮ সালে প্রতি হাজারে পুরুষ প্রতিবন্ধীর হার ৯.৩ এবং নারী প্রতিবন্ধীর হার ৭.৭।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।
নারীদের গড় আয়ু বেশি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক বলেন, নারীদের রোগবালাই কম হয়। তারা উচ্চ রক্তচাপে কম ভোগেন। তাই তাদের গড় আয়ু বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৯ লাখ। ফলে জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২৪ লাখ ও নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ২২ লাখ। ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২৭ লাখ।
এমএসভিএসবি’র জরিপে উঠে এসেছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.১৩ ভাগ। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। দেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালের তুলনায় বেড়ে ২০১৮-তে ০.?২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৮.৮ শতাংশ, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের ৫৪.৬ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছরের ৮.৭ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা ৭.৯ শতাংশ। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ২০১৮ সালে ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ০.০১ শতাংশ কম।
২০১৮ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৯ জন মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে প্রতিবন্ধীতার হার বেশি অর্থাৎ নারীদের চেয়ে পুরুষরা প্রতিবন্ধী হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি। ২০১৮ সালে প্রতি হাজারে পুরুষ প্রতিবন্ধীর হার ৯.৩ এবং নারী প্রতিবন্ধীর হার ৭.৭।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।