ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
আমিরের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলেই ছিলেন না। অনেক নাটকের পর দলে এলেও সাবেকদের মন জোগাতে পারেননি। তাঁর বোলিং দেখে প্রশ্ন উঠেছিল, এই আমির কেন বিশ্বকাপ দলে? তার উত্তর দিলেন এই পেসার। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট।
বাজে পারফরমেন্সের কারণে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রথমবার ঘোষিত হওয়া দলে জায়গাই পাননি আমির। যদিও বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজে দলে ছিলেন এবং চিকেন ফক্সের কারণে দুই ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপের আগে তার পাফরমেন্সও আশানুরুপ ছিল না। চলতি বছর খেলা ১৪ ম্যাচে মাত্র পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। শেষ পর্যন্ত সাবকেদের চাপে দলে নেয়া হয় তাকে। সুযোগ পেয়েই নিজের পুরনো রূপ ফিরে পেলেন। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন উইকেটে পেলেও দল হারায় ওই পারফরমেন্সের কোন মূল্য থাকেনি। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২ উইকেট পেলেও খুব একটা ভাল বোলিং করতে পারেননি আমির। তবে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে যেন এক প্রকার নিজের রুদ্রমূর্তি রূপ ধারণ করেন আমির। যেখানে পাকিস্তানের বাকি বোলাররা ওভার প্রতি ৬-এর উপর রান দিয়ে গেছেন। সেখানে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। একাই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ১০ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং। এর আগে ২০০৯ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮ রানে চার উইকেটই ছিল সেরা সংগ্রহ।
পাকিস্তানের সপ্তম বোলার হিসেবে ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেন বিশ্বকাপে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে আবদুল কাদির প্রথম পাকিস্তানি বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেন, তখনকার দুর্বল প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মাঝখানে তিন বিশ্বকাপে আর কোনো পাকিস্তানি বোলার এই কীর্তি করে দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ৫ উইকেট নিয়ে এই খরা কাটান সাকলায়েন। ২০১১ বিশ্বকাপে শহীদ আফ্রিদি এই কীর্তি করেছিলেন দুবার। দুবারই অবশ্য প্রতিপক্ষ ছিল দুর্বল। ওই আসরে ওয়াহাব রিয়াজও ভারতের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানে সেরা বোলিং যাদের
বোলার বোলিং প্রতিপক্ষ সাল
আবদুল কাদির ৫/৪৪ শ্রীলঙ্কা ১৯৮৩
সাকলাইন মুশতাক ৫/৩৫ বাংলাদেশ ১৯৯৯
ওয়াসিম আকরাম ৫/২৮ নামিবিয়া ২০০৩
শহীদ আফ্রিদি ৫/১৬ কেনিয়া ২০১১
শহীদ আফ্রিদি ৫/২৩ কানাডা ২০১১
ওয়াহাব রিয়াজ ৫/৪৬ ভারত ২০১১
সোহেল খান ৫/৫৫ ভারত ২০১৫
মোহাম্মদ আমির ৫/৩০ অস্ট্রেলিয়া ২০১৯
বাজে পারফরমেন্সের কারণে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রথমবার ঘোষিত হওয়া দলে জায়গাই পাননি আমির। যদিও বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজে দলে ছিলেন এবং চিকেন ফক্সের কারণে দুই ম্যাচের বেশি খেলতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপের আগে তার পাফরমেন্সও আশানুরুপ ছিল না। চলতি বছর খেলা ১৪ ম্যাচে মাত্র পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। শেষ পর্যন্ত সাবকেদের চাপে দলে নেয়া হয় তাকে। সুযোগ পেয়েই নিজের পুরনো রূপ ফিরে পেলেন। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন উইকেটে পেলেও দল হারায় ওই পারফরমেন্সের কোন মূল্য থাকেনি। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ২ উইকেট পেলেও খুব একটা ভাল বোলিং করতে পারেননি আমির। তবে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে যেন এক প্রকার নিজের রুদ্রমূর্তি রূপ ধারণ করেন আমির। যেখানে পাকিস্তানের বাকি বোলাররা ওভার প্রতি ৬-এর উপর রান দিয়ে গেছেন। সেখানে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। একাই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ১০ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ৩০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং। এর আগে ২০০৯ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮ রানে চার উইকেটই ছিল সেরা সংগ্রহ।
পাকিস্তানের সপ্তম বোলার হিসেবে ম্যাচে ৫ উইকেট নিলেন বিশ্বকাপে। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে আবদুল কাদির প্রথম পাকিস্তানি বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেন, তখনকার দুর্বল প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মাঝখানে তিন বিশ্বকাপে আর কোনো পাকিস্তানি বোলার এই কীর্তি করে দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ৫ উইকেট নিয়ে এই খরা কাটান সাকলায়েন। ২০১১ বিশ্বকাপে শহীদ আফ্রিদি এই কীর্তি করেছিলেন দুবার। দুবারই অবশ্য প্রতিপক্ষ ছিল দুর্বল। ওই আসরে ওয়াহাব রিয়াজও ভারতের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানে সেরা বোলিং যাদের
বোলার বোলিং প্রতিপক্ষ সাল
আবদুল কাদির ৫/৪৪ শ্রীলঙ্কা ১৯৮৩
সাকলাইন মুশতাক ৫/৩৫ বাংলাদেশ ১৯৯৯
ওয়াসিম আকরাম ৫/২৮ নামিবিয়া ২০০৩
শহীদ আফ্রিদি ৫/১৬ কেনিয়া ২০১১
শহীদ আফ্রিদি ৫/২৩ কানাডা ২০১১
ওয়াহাব রিয়াজ ৫/৪৬ ভারত ২০১১
সোহেল খান ৫/৫৫ ভারত ২০১৫
মোহাম্মদ আমির ৫/৩০ অস্ট্রেলিয়া ২০১৯