বাংলারজমিন
ঝালকাঠিতে দুই শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
১২ জুন ২০১৯, বুধবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠির নলছিটিতে কবুতর চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর মাথার চুল কেটে দিয়ে অমানবিক আচরণ করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক গত রোববার বিকেলে উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটায়। নির্যাতন ও চুল কাটার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। নির্যাতনের শিকার সজিব হোসেন খান বাকেরগঞ্জের তবিরকাঠি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে এবং রিফাত হোসেন জয় একই গ্রামের আবদুল ক্দ্দুুস হাওলাদারের ছেলে। তারা দুজনেই স্থানীয় জেড এ ভুট্টো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় জয়ের বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে নলছিটি থানায় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল শাহ আলমসহ আটজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌরনদী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহ আলমের বাড়িতে গত শনিবার রাতে কবুতর চুরি হয়। রবিবার সকালে পার্শ্ববর্তী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার তবিরকাঠি গ্রামের মো. সজিব হোসেন খান (১৪) ও রিফাত হোসেন জয় (১৪) নামে দুই শিশুকে আটক করে শাহ আলম ও তার ছেলেরা। পরে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিচার বসিয়ে নির্যাতনের নির্দেশ দেয়। শাহ আলম ব্লেড দিয়ে জয় নামে এক শিশুর মাথার মাঝখান থেকে চুল কেটে দেয়। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। পুরো ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন স্থানীয় লোকজন। চুল কাটা ও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের চিত্র ভিডিও করে এবং ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌরনদী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহ আলমের বাড়িতে গত শনিবার রাতে কবুতর চুরি হয়। রবিবার সকালে পার্শ্ববর্তী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার তবিরকাঠি গ্রামের মো. সজিব হোসেন খান (১৪) ও রিফাত হোসেন জয় (১৪) নামে দুই শিশুকে আটক করে শাহ আলম ও তার ছেলেরা। পরে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিচার বসিয়ে নির্যাতনের নির্দেশ দেয়। শাহ আলম ব্লেড দিয়ে জয় নামে এক শিশুর মাথার মাঝখান থেকে চুল কেটে দেয়। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। পুরো ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন স্থানীয় লোকজন। চুল কাটা ও গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের চিত্র ভিডিও করে এবং ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।