শেষের পাতা
দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ডিআইজি মিজানের
স্টাফ রিপোর্টার
১০ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
নারী কেলেঙ্কারি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানের কাছ থেকে এবার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে তার কাছে ঘুষ দাবি করেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। কয়েক দফায় তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে গতকাল একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। আজকের মধ্যে এই কমিটি দুদকের মহাপরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক। অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য ওই বছরের ২৫শে এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ ছয়টি সংস্থায় চিঠি দেয় দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর স্বাক্ষরে বিভিন্ন সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠি অনুযায়ী ডিআইজি মিজানকে গত বছরের ৩রা মে দুদক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুরুতে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এটি তদন্ত করলেও পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। ডিআইজি মিজানকে অভিযোগ থেকে রক্ষা করার কথা বলে তার কাছে অর্ধলক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি।
ওই দাবি অনুসারে গত ১৫ই জানুয়ারি মিজানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন এনামুল বাসির। রমনা পার্কে এই টাকা লেনদেন হয়। পরবর্তীতে এনামুল বাসিরকে আরও ২৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা হয়। সবমিলিয়ে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন এনামুল বাসির। এছাড়া সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য একটি গাড়িও দাবি করেন তিনি। এমনকি ঘুষের টাকা বেনামে ব্যাংকে রাখার জন্য ডিআইজি মিজানের সঙ্গে পরামর্শ করেন এনামুল বাসির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুদকের প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই গত ৩০শে মে পুলিশ প্লাজায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর দোকানে গিয়ে এনামুল বাসির জানান, প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে রক্ষা করতে না পারলেও ‘কিছু পয়েন্ট’ রেখেছেন বলে জানান। দুদকের পরিচালক এনামুল বাসিরের ঘুষ দাবি, ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত অডিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে সরবরাহ করেন ডিআইজি মিজান। এতে দুজনের এ সংক্রান্ত কথোপকথন রয়েছে।
এক নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে আলোচনায় আসনে ডিআইজি মিজান। এই অভিযোগে গত বছরের ৯ই জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের (ডিআইজি) পদ থেকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক। অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য ওই বছরের ২৫শে এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ ছয়টি সংস্থায় চিঠি দেয় দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর স্বাক্ষরে বিভিন্ন সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠি অনুযায়ী ডিআইজি মিজানকে গত বছরের ৩রা মে দুদক কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুরুতে ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এটি তদন্ত করলেও পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির। ডিআইজি মিজানকে অভিযোগ থেকে রক্ষা করার কথা বলে তার কাছে অর্ধলক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি।
ওই দাবি অনুসারে গত ১৫ই জানুয়ারি মিজানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন এনামুল বাসির। রমনা পার্কে এই টাকা লেনদেন হয়। পরবর্তীতে এনামুল বাসিরকে আরও ২৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা হয়। সবমিলিয়ে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন এনামুল বাসির। এছাড়া সন্তানকে স্কুলে আনা-নেয়ার জন্য একটি গাড়িও দাবি করেন তিনি। এমনকি ঘুষের টাকা বেনামে ব্যাংকে রাখার জন্য ডিআইজি মিজানের সঙ্গে পরামর্শ করেন এনামুল বাসির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুদকের প্রতিবেদনে ডিআইজি মিজানকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই গত ৩০শে মে পুলিশ প্লাজায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর দোকানে গিয়ে এনামুল বাসির জানান, প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে রক্ষা করতে না পারলেও ‘কিছু পয়েন্ট’ রেখেছেন বলে জানান। দুদকের পরিচালক এনামুল বাসিরের ঘুষ দাবি, ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত অডিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে সরবরাহ করেন ডিআইজি মিজান। এতে দুজনের এ সংক্রান্ত কথোপকথন রয়েছে।
এক নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে আলোচনায় আসনে ডিআইজি মিজান। এই অভিযোগে গত বছরের ৯ই জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের (ডিআইজি) পদ থেকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।