দেশ বিদেশ
৫ এমপির পার্লামেন্টে যাওয়া নিয়ে চাপের চেয়ে লোভ বেশি ছিল: গয়েশ্বর
স্টাফ রিপোর্টার
১ জুন ২০১৯, শনিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিএনপির নির্বাচিত ৫ এমপির পার্লামেন্টে যাওয়া নিয়ে চাপের চেয়ে লোভ বেশি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি পার্লামেন্টে যাবে না, আবার পার্লামেন্টে গেলাম কেনো? এখান থেকে বুঝতে হবে আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারি না। কারণ তাদের দলের প্রতি ও রাজনীতির প্রতি কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। যারা শপথ নিয়েছে এই ৫টা লোককে আমরা যদি বাধ্য করতে পারতাম তাহলে আজকে আপনাদের এই দুঃখটা থাকত না। মানুষের কাছেও আজকে জবাব দিতে হতো না। তিনি বলেন, নির্বাচিত ৫ জন বলে পার্লামেন্টে যাওয়া নিয়ে তাদের চাপ ছিল। আসলে চাপের চেয়ে তাদের লোভ বেশি ছিল। এরা একটা দিনও কি বলেছে? খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে পার্লামেন্টে যাবো না। ৫ জনের একজনও বলেনি। তাহলে তাদের কাছে পার্লামেন্ট জরুরি, খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি না। বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট যদি রাতের আধারে চুরি হয়ে যায়, তাহলে সবারই বদনাম হয়। সামাজিক ক্ষেত্রেও অনেক অন্যায় আবদার মেনে নিতে হয়। এখন এই ৫ জন যদি দল ছেড়ে চলে যেত তাহলে অন্য রকম পরিস্থিতি হত। সেই কারণেই আমাদের প্রেক্ষাপট বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, আইন আছে আইনের প্রয়োগ নাই। বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন হত, বিবেকতাড়িত হত তাহলে খালেদা জিয়াকে ১৪ মাস না ১৪ দিনেও কারাগারে রাখতে পারত না সরকার। আমি ধরে নিলাম খালেদা জিয়া অপরাধী। কিন্তু উনার যে সাজা হয়েছে। এরকম সাজাপ্রাপ্ত লোকের সংখ্যা বাংলাদেশে শতশত, হাজার হাজার। তারা জামিনে মুক্ত। কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না কেনো? গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সম্প্রতি লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তারেককে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করো, নাহলে কিন্তু তার মাকে আজীবনেও ছাড়া হবে না। তার মানে খালেদা জিয়াকে ছাড়ার মালিক শেখ হাসিনা। এটা কি আদালত অবমাননা না? আদালত কি শেখ হাসিনাকে একদিনও ডেকেছে, জিজ্ঞেস করেছে, যে একথা বলার আপনি কে?
তাঁতীদলের আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।
তাঁতীদলের আহবায়ক আবুল কালামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।