গ্রিনলাইন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী নিহত

ছোটন ও সামিউল নামের স্কুলপড়ুয়া দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো ছোটন। অপর বন্ধু সামিউলকে  গুরুতর আহত অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকায়। নিহত ছোটন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুলজান গ্রামের পাবেল খানের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুলজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলযোগে আরিচা অভিমুখী যাচ্ছিল।
পথিমধ্যে ঘিওর উপজেলার তরা এলাকায় বরংগাইল ফাঁড়ির টহল পুলিশের গাড়ি দেখে ভয়ে গতি বাড়িয়ে দেয়। এ সময় তাদের  মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা দ্রুতগামী গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপ দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত দুই বন্ধুকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে ছোটন খান (১৪) মারা যায়। আহত আরেক বন্ধু সামিউলকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
বরংগাইল ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইয়ামিন দৌল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশের গাড়িতে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ছোটন নামের এক ছাত্র মারা যায়। আহত অপর ছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।