দেশ বিদেশ

ট্রেনের টিকিট

দ্বিতীয় দিনেও অনলাইন অ্যাপে বিভ্রাট

স্টাফ রিপোর্টার

২৪ মে ২০১৯, শুক্রবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। পাশপাশি বিক্রি চলছে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমেও। গতকাল বিক্রি হয়েছে ১লা জুনের টিকিট। প্রথম দিনের তুলনায় গতকাল কমলাপুর রেল স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় ছিল বেশি। তবে অ্যাপে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় কাউন্টারে এসে দাঁড়াতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টিকেট প্রত্যাশীরা। আগাম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন বিক্রি হয় ২৫ হাজার ৫৭১টি টিকিট। সব চেয়ে বেশি ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় কমলাপুরে। অনলাইনে বা মোবাইল অ্যাপে টিকিট কিনতে না পেরে কাউন্টারে চলে আসেন নাহিদ হাসান। রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনতে ভোর ৫টায় কমলাপুর স্টেশনে আসেন তিনি। সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী এক্সপ্রেসের ১লা জুনের টিকিটের জন্য বাসার কাছে একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেক বার চেষ্টা করেও অনলাইনে টিকিট কিনতে পারিনি। এজন্য কমলাপুর চলে আসলাম। পরে বেলা দেড়টার দিকে টিকিট পেয়েছি।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আমানুল্লাহ বগুড়া যাওয়ার জন্য অনলাইনে চেষ্টা করেও টিকিট পাননি। তিনি বলেন, ‘লালমনি এক্সপ্রেস এবং রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য চেষ্টা করেছি। সার্ভার ওপেন হয়। ট্রেন সিলেক্ট অপশন পর্যন্ত যাওয়া যায়। এরপর থেকে শুধু লোড নিতে থাকে। টিকিট আর আর কাটা যায় না। এজন্য এখানে চলে এসেছি। দেখি টিকিট পাই কিনা।’
জয়পুরহাটে যাওয়ার জন্য দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য এসেছেন জিয়াউর রহমান। মোবাইল অ্যাপসে টিকিট কিনতে না পেরে ক্ষুদ্ধ জিয়া বলেন, এটা শুধু শুধু করেছে। এতবার চেষ্টা করলাম, খালি ্তুনট ফাউন্ড্থ দেখায়। এই অ্যাপসে চেষ্টা না করাই ভালো।
এ বিষয়ে সিএন?এসবিডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কবিরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন ১১ হাজার টিকিট থাকে অনলাইনে বিক্রির জন্য। টিকিট বিক্রির প্রথম দিন মোট টিকিটের ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে। আমরা শুধু স্টেশন দেখভাল করি। বিক্রির তথ্য দিয়েছে সিএন?এসের মূল কার্যালয়ের টেকনিক্যাল বিভাগ। তারা এর ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে।’ সাধারণ টিকিট পাওয়া গেলেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার টিকিট সকালেই শেষ হয়ে গেছে। ফলে কাঙ্খিত টিকিট ও পাচ্ছেন না অনেকে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার চারটি টিকিটের জন্য এসেছেন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা শাহ জাহান খান। টিকিট পাননি তিনি। শাহজাহান বলেন, ‘এসি চেয়ার, প্রথম শ্রেণি কোথাও সিট পাইনি। জোরাজুরি করার পর তিনটি টিকিট দিয়েছে আমাকে। এর মধ্যে এসি কেবিনে দুটি সিট আবার দুই রুমের। আমি যাব এক কেবিনে, স্ত্রী যাবে আরেক কেবিনে। আরেকটি শোভন চেয়ারের সিট দিয়েছে আরেক বগির। এখন একেকজন একেক কামরায় যেতে হবে।
রেলভবন সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে ঈদের সময় একসঙ্গে প্রায় দেড় লাখ হিট পড়ে। তবে সিএনএসবিডির যে সক্ষমতা তাতে মাত্র ২০ হাজার লোড নিতে পারে। যে কারণে সাধারণ মানুষ অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পেতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে। রেলের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড বাংলাদেশ (সিএনএসবিডি) সূত্রে জানা গেছে, এবার ৫০ ভাগ টিকিট অনলাইনে তিন পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনের এসএমএসে, ওয়েবসাইট থেকে এবং রেলের টিকিট কাটার সবশেষ ফিচার অ্যাপের মাধ্যমে। ঢাকা থেকে সবগুলো আন্তঃনগর ট্রেন মিলিয়ে দিনে প্রায় ৩০ হাজার ট্রেনের টিকিট রয়েছে। এর মধ্যে ৫ ভাগ রেলওয়ে কমকর্তা কর্মচারী ও ৫ ভাগ ভিআইপি ছাড়া বাকি সব টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইন ও এসএমএস ও অ্যাপে পাওয়ার কথা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status