বাংলারজমিন
কক্সবাজারে চরম হতাশায় লক্ষাধিক জেলে
রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে সোমবার থেকে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। মাছ ধরা বন্ধ থাকবে ৬৫ দিন। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে জেলার লক্ষাধিক জেলে। এ নিয়ে জেলে পরিবারগুলোয় নেমে এসেছে হতাশা ও উৎকণ্ঠতা। যদিও সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এখন মাছের প্রজনন মৌসুম। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে এসব মাছের আকার ও পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাই এই কর্মসূচি। এদিকে সরকারি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সমুদ্র অঞ্চলের জেলেরা। দীর্ঘ দুই মাস যদি তাদের একমাত্র জীবিকা মাছ ধরা চালিয়ে যেতে না পারেন তাহলে জেলেপল্লীসহ সংশ্লিষ্ট সকল পেশাজীবীর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তিনি অবিলম্বে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের জীবনযাপন স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে জেলে পরিবারগুলোয় সরকারি ত্রাণ সহায়তা প্রদানের দাবিতে ২৬শে মে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয় সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান বলেন, ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি হয়েছে। বিষয়টি সব জেলে ও নৌকার মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি। সভা-সমাবেশ, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করেও জেলেদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে। মাছ ধরা বন্ধের সরকারি আদেশ না মেনে কোনো জেলে সাগরে মাছ ধরতে নামলে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী তাদের প্রতিরোধ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেয়ে জেলেরা তাদের স্ব স্ব ট্রলার নোঙর করে রেখেছে। নুনিয়াছড়া, বাকখালী নদীর বিভিন্ন মোহনায় শ শ ট্রলার নোঙর করা দেখা গেছে। জেলেরা জানান, দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হবে। এর প্রভাব পড়বে সামনের ঈদে। রোজায়ও তাদের কষ্ট হবে। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতো, কয়েক হাজার ট্রলার গভীর সাগর থেকে কূলে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, ইলিশ ধরার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার লাখো জেলেকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলে পরিবারগুলোতে হাহাকার নেমে আসবেও বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে প্রায় ১০ হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বেন। মাছের ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হবে। একইভাবে শুঁটকি উৎপাদনেও ধস নামবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেয়ে জেলেরা তাদের স্ব স্ব ট্রলার নোঙর করে রেখেছে। নুনিয়াছড়া, বাকখালী নদীর বিভিন্ন মোহনায় শ শ ট্রলার নোঙর করা দেখা গেছে। জেলেরা জানান, দীর্ঘ দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হবে। এর প্রভাব পড়বে সামনের ঈদে। রোজায়ও তাদের কষ্ট হবে। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতো, কয়েক হাজার ট্রলার গভীর সাগর থেকে কূলে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, ইলিশ ধরার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে সরকার লাখো জেলেকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দীর্ঘ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে জেলে পরিবারগুলোতে হাহাকার নেমে আসবেও বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে প্রায় ১০ হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বেন। মাছের ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হবে। একইভাবে শুঁটকি উৎপাদনেও ধস নামবে।