এক্সক্লুসিভ
আরসিবিসি ব্যাংকের পাঁচ নির্বাহীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের পাঁচ নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করেছে দেশটির বিচার বিভাগ (ডিএজে)। বুধবার সাংবাদিকদের একথা জানান দেশটির জাস্টিস আন্ডার সেক্রেটারি মার্ক পেরেত। তিনি জানান, আরসিবিসির কোষাধ্যক্ষ রাওল ভিকটর ট্যান, জাতীয় বিক্রয় পরিচালক ইসমায়েল রেইস, আঞ্চলিক বিক্রয় পরিচালক ব্রিজিত ক্যাপিনা, জুপিটার বিজনেস সেন্টারের গ্রাহক সেবা প্রধান রোমুয়ালদো আগারাদো ও জুপিটার বিজনেস সেন্টারের জ্যেষ্ঠ গ্রাহক সমপর্ক বিষয়ক কর্মী অ্যাঞ্জেলা রুথ টরেসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরা সকলেই আরসিবিসির রিটেইল ব্যাংকিং গ্রুপের সদস্য ছিলেন। এ খবর দিয়েছে দ্য ইনকুয়ার ও সিএনএন।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করতে আপিল করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু ফিলিপাইনের ঘটনার তদন্তকারী প্রসিকিউটররা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘ইচ্ছাকৃত বিবেচনাহীনতা’ হচ্ছে কোনো অপরাধ সমপর্কে জেনেও সেটা এড়িয়ে যাওয়া। বিশেষ করে, অপরাধটি প্রমাণযোগ্য জানার পরও ওই অপরাধ সমপর্কে যথাযথ তদন্ত চালাতে ব্যর্থ হওয়া। ট্যান, ক্যাপিনা, রেইস, আগারাদো ও টরেসের কর্মকাণ্ড এর চেয়ে সুষ্ঠুভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, সন্দেহজনক ওই বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়টি সামলানোর সময় তাদের সন্তুষ্ট মনোভাব অগ্রহণযোগ্য। এটি আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার অখণ্ডতায় ফাটল ধরিয়েছে।
পেরেত জানিয়েছে, মাকাতি আঞ্চলিক ট্রায়াল কোর্টের (আরটিসি) ১৪১ শাখায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, আরসিবিসির এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের প্রত্যাশা খুব শিগগিরই তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তারা বলেছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। কেননা, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে আমাদের পরিচালিত তদন্ত অনুসারে, তারা এই অর্থ চুরির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মাকাতি আরটিসির ১৪৯ শাখা জানায়, আরসিবিসির শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস-দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ফিলিপাইনের আঞ্চলিক আদালত ৮টি অভিযোগে দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিটি ধারায় ৪ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাকে।
পেরেত জানান, এখন তদন্তকারীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ব্যাংকের আরো পাঁচ কর্মকর্তাও এই অর্থ পাচারে জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ
ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি করা হয়। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২ েকোটি ডলার এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রথমে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) একটি শাখায় পাঠানো হয়। পরে এই অর্থ আরসিবিসি থেকে চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। চুরি হওয়া অর্থ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে মার্চ মাসে উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধেই মানহানির হামলা করে আরসিবিসি।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করতে আপিল করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু ফিলিপাইনের ঘটনার তদন্তকারী প্রসিকিউটররা তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘ইচ্ছাকৃত বিবেচনাহীনতা’ হচ্ছে কোনো অপরাধ সমপর্কে জেনেও সেটা এড়িয়ে যাওয়া। বিশেষ করে, অপরাধটি প্রমাণযোগ্য জানার পরও ওই অপরাধ সমপর্কে যথাযথ তদন্ত চালাতে ব্যর্থ হওয়া। ট্যান, ক্যাপিনা, রেইস, আগারাদো ও টরেসের কর্মকাণ্ড এর চেয়ে সুষ্ঠুভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ প্রসঙ্গ টেনে অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, সন্দেহজনক ওই বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়টি সামলানোর সময় তাদের সন্তুষ্ট মনোভাব অগ্রহণযোগ্য। এটি আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার অখণ্ডতায় ফাটল ধরিয়েছে।
পেরেত জানিয়েছে, মাকাতি আঞ্চলিক ট্রায়াল কোর্টের (আরটিসি) ১৪১ শাখায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, আরসিবিসির এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের প্রত্যাশা খুব শিগগিরই তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। তারা বলেছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, তাদের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। কেননা, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে আমাদের পরিচালিত তদন্ত অনুসারে, তারা এই অর্থ চুরির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মাকাতি আরটিসির ১৪৯ শাখা জানায়, আরসিবিসির শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস-দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ফিলিপাইনের আঞ্চলিক আদালত ৮টি অভিযোগে দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিটি ধারায় ৪ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাকে।
পেরেত জানান, এখন তদন্তকারীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ব্যাংকের আরো পাঁচ কর্মকর্তাও এই অর্থ পাচারে জড়িত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ
ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই অর্থ চুরি করা হয়। চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২ েকোটি ডলার এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার প্রথমে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) একটি শাখায় পাঠানো হয়। পরে এই অর্থ আরসিবিসি থেকে চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। চুরি হওয়া অর্থ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে মার্চ মাসে উল্টো বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধেই মানহানির হামলা করে আরসিবিসি।