বাংলারজমিন
সিলেটে সেই শিশুর দায়িত্ব নিলো পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নবজাতককে ফেলে যান তার জন্মদাতা বাবা-মা। পরবর্তীকালে ফেলে যাওয়া নবজাতককে উপস্থাপন করা হয় আদালতে। আদালতে উপস্থাপনের পর ওই নবজাতককে এক পুলিশ কনস্টেবলের জিম্মায় দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ নবজাতক শিশুটিকে ওই পুলিশ কনস্টেবলের জিম্মায় নেয়ার আদেশ প্রদান করেন। এর আগে ওই নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তার বাবা-মা। পরে অসুস্থ নবজাতককে চিকিৎসা দিয়ে হাজির করা হয় আদালতে। আদালত মঙ্গলবার নবজাতককে নেয়ার জন্য আবেদন করেন আদালতে কর্মরত পুলিশ কন্সটেবল রবিউল হোসেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নবজাতককে জিম্মায় নেয়ার আদেশ প্রদান করেন আদালত। ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানায়, গত ১৭ই মে সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে নবজাতক ওই শিশুটিকে নিয়ে ভর্তি হন এক দম্পতি। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে শিশুটির বাবার নাম শিমুল আহমদ ও মায়ের নাম আয়শা বেগম এবং ঠিকানা শিবগঞ্জ সোনারপাড়া লেখানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটিকে রেখে উধাও হয়ে যান ওই ‘বাবা-মা’। পরে অনেক খোঁজখবর নিয়ে তাদের সন্ধান পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওসমানী হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, নবজাতক শিশুটিকে রেখে বাবা-মা উধাও হয়ে যাওয়ার পর তারা সবাই মিলে শিশুটির দেখভাল করেন। অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মঙ্গলবার শিশুটিকে সুস্থ হিসেবে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শিশুটিকে সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে হাজির করা হয়। আদালতে ওই নবজাতককে নিতে আবেদন করেন পুলিশ কন্সটেবল রবিউল। ফলে রবিউলের জিম্মায় ওই শিশুটিকে হস্তান্তর করেন আদালত। আদালতের কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, নবজাতক শিশুটিকে নিতে আদালতে আবেদন করেন পুলিশ কনস্টেবল রবিউল হোসেন। তিনি আদালতে কর্মরত। আদালত আবেদন বিবেচনা করে শিশুটিকে রবিউলের জিম্মায় দেন। নবজাতককে জিম্মায় নেয়া পুলিশ কনস্টেবল রবিউল হোসেন জানান, তিনি নবজাতককে তার জিম্মায় নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত নবজাতকটিকে লালন-পালন করা ও নবজাতকের পিতা-মাতার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তার জিম্মায় দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, নবজাতকটি এখন সুস্থ আছে।