বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় ল্যাপটপ পেলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাজিম
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
নাজিম হোসেন। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে। জন্মগত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সে। সকল প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছর পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পড়ালেখার প্রতি প্রবল ইচ্ছা তার। তারা যে মাধ্যমে পড়াশোনা করে, সেটা পুরোটাই রেকর্ডিং পদ্ধতি। তাই পড়ালেখার সহায়ক হিসেবে একটি ল্যাপটপ ভীষণ প্রয়োজন ছিল তার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ল্যাপটপ কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। সেজন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পড়ালেখার সহায়ক হিসেবে একটি ল্যাপটপ চেয়ে আবেদন করে নাজিম হোসেন। তার আবেদনে সাড়া দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান। যিনি অল্প সময়ে তার দক্ষতা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে গতিশীল করেছেন। জনবান্ধব করেছেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাজিম হোসেনের মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে গতকাল সকালে নাজিম হোসেন ও তার পিতা মো. বাচ্চু মিয়াকে ইউএনওর কার্যালয়ে ডাকা হয়। পরে ইউএনও নিজস্ব উদ্যোগে একটি নতুন ল্যাপটপ নাজিম হোসেনের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফাইজ উদ্দিন আকন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী একেএম দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ল্যাপটপ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাজিম হোসেন বলেছে, ল্যাপটপটি তার পড়ালেখার ক্ষেত্রে খুবই কাজে আসবে। এজন্য সে ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি নাজিম হোসেন যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এবং ভবিষ্যতে পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে পারে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছে। নাজিম হোসেনের বাবা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তবে পড়ালেখার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ। ছেলেকে ল্যাপটপ দেয়ায় ইউএনওর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে যেন পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে পারে সেজন্য দোয়া করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, নাজিম হোসেন নামে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তার পড়ালেখার কাজে সহায়ক হিসেবে একটি ল্যাপটপ চেয়ে আবেদন করে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে নিজস্ব উদ্যোগে ল্যাপটপটি দেয়া হয়েছে। আমাদের সবার উচিত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের পাশে থাকা।
ল্যাপটপ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে নাজিম হোসেন বলেছে, ল্যাপটপটি তার পড়ালেখার ক্ষেত্রে খুবই কাজে আসবে। এজন্য সে ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি নাজিম হোসেন যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এবং ভবিষ্যতে পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে পারে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছে। নাজিম হোসেনের বাবা মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তবে পড়ালেখার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ। ছেলেকে ল্যাপটপ দেয়ায় ইউএনওর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে যেন পড়ালেখা করে ভালো মানুষ হতে পারে সেজন্য দোয়া করবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, নাজিম হোসেন নামে এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তার পড়ালেখার কাজে সহায়ক হিসেবে একটি ল্যাপটপ চেয়ে আবেদন করে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনা করে নিজস্ব উদ্যোগে ল্যাপটপটি দেয়া হয়েছে। আমাদের সবার উচিত মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের পাশে থাকা।