দেশ বিদেশ

কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন সংবিধান পরিপন্থি: মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার

২২ মে ২০১৯, বুধবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন সংবিধান পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আদালত স্থাপন করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিগগিরই হাইকোর্টে আবেদন করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেছেন, আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার মতো যে পরিবেশ থাকার দরকার, সে ধরনের কোনো পরিবেশ কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেই। আদালত পরিচালনার যে সুযোগ-সুবিধা স্বাভাবিকভাবে থাকে, তা সেখানে নেই। এ আদালত স্থাপন করা সংবিধান পরিপন্থী। আমরা মনে করি, সংবিধানের যে মৌলিক অধিকার একজন নাগরিককে দেয়া হয়েছে, সে অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা খুব শিগগির সুপ্রিম কোর্র্টে কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপনের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করব। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। মওদুদ বলেন, নির্জন একটা অবস্থা সেখানে। কেরানীগঞ্জ একটা উপজেলা। সেখানে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের যে পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, সে ধরনের কোনো পরিবেশ সেখানে নেই। সেখানে আইনজীবীদের যাওয়া-আসায় চরম দুর্ভোগ। বই-পুস্তক নেই, লাইব্রেরি নেই। আদালত পরিচালনা করার জন্য স্বাভাবিক পরিবেশও নেই। আদালত স্থানান্তর ইস্যুতে আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই উল্লেখ করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই। আইনের আশ্রয় নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। ঘটনা ঘটল ঢাকায়, কিন্তু কেরানীগঞ্জে বিচার হবে। অথচ আইনে আছে, যেখানে ঘটনা ঘটবে, সেখানেই বিচার হতে হবে। কিন্তু সেখানে না করে কেরানীগঞ্জে বিচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা লড়ে যাব, লড়তেই থাকব। খালেদা জিয়ার এত দিন জেলে থাকার কথা নয় মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, উনার সাজা হয়েছিল পাঁচ বছরের। একটা ভুয়া, মিথ্যা, অসত্য মামলা দিয়ে তার সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সবই ছিল সরকারের পরিকল্পনা। কিন্তু তার পর যখন আপিল ফাইল করা হল, তখন আমরা ধরে নিয়েছিলাম, সেদিনই জামিন মঞ্জুর হবে। কিন্তু সেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে অনেক পরে। তারপরও সরকারের বিভিন্ন কলাকৌশল ও ষড়যন্ত্রের কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি। রাজপথের আন্দোলন ছাড়া বেগম খালেদা জিয়াকে মুুক্ত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আইনগতভাবে যতটুকু করা সম্ভব, আমরা করছি। কিন্তু সরকারের কূটকৌশলের কারণে আমরা সফল হতে পারছি না। তারপরও আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিতে হবে। কারণ, আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে না।
এটা আমরা সবাই বুঝি। মওদুদ বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি হোক সেটা সরকার চায় না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ চায় বেগম জিয়া মুক্ত হোক। সুতরাং জনগণের ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ হবে। আজকে না হোক কাল বেগম জিয়া মুক্ত হবেন। দেশের গণমানুষের দাবি নিয়ে এগিয়ে যাবেন। দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হবেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী, কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতান, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, ড্যাব নেতা ডা. সিরাজউদ্দীনসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status