বাংলারজমিন
ফুলবাড়ীতে ভিজিডির সঞ্চয়ের দেড় কোটি টাকা গায়েব
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২১ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়ী উপজেলার দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট-ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় ৬টি ইউনিয়নের মোট ৫,৭৯৯ জন উপকারভোগীর মাঝে প্রতি মাসে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হতো। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য দুই বছর মেয়াদি কার্ড দেয়া হয়। দুই বছর ধরে কষ্ট করে মাসিক ২০০ টাকা করে সঞ্চয় করেছেন মোট ৪ হাজার ৮০০ টাকা। লাভসহ ওই টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১১ টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও অফিসের বারান্দায় বার বার ধর্না দিয়েও টাকা না পেয়ে ইউএনওর কার্যালয় ঘেরাও করেছেন নারীরা। রোববার সকাল ১১টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন ভিজিডির কার্ডধারী ৫ শতাধিক কার্ডধারি দরিদ্রনারী। পরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাগিদ দেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলম মণ্ডল বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর সিদ্দিক মিলনের সহযোগিতায় ইউএনও তোপের মুখে পড়লে শেষে টাকা ফেরত দিতে চাইলে পরিবেশ শান্ত হয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নেতারা বলেন আমলাতান্ত্রিকদের সরকার যা বেতন দেন তাতে তাদের সংসার চলে না। তাই গরিবের টাকা মেরে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচি হবে।
জানা গেছে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় বাংলাদেশ সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি (বিএসডিএ) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি) নামের দুইটি এনজিওর বাস্তবায়নে ১লা জানুয়ারি ২০১৭ ফুলবাড়ী উপজেলায় দুই বছর মেয়াদি ভিজিডি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৫৭৯৯ জন হতদরিদ্র নারীকে জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল প্রদানের বিপরীতে পাস বইয়ের মাধ্যমে মাসিক ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার (০১০২৭৬৫০ ও ৩৪১৩৮৫১৯) নম্বর হিসাবে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩২০ টাকা জমা হয় দু’বছরে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের টাকা হাতে হাতে বিতরণ করলে ছিনতাই হতে পারে এমন অজুহাতে সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখা থেকে ওই টাকা ডাচ-বাংলা রকেট ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখায় স্থানান্তর করা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রানী ও ডাচ্-বাংলা রকেটের লোকজন। ভুক্তভোগীরা হলেন, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী (১) মর্জিয়া বেগমের টাকা মোবাইলে আসে নাই। (২) লিপি বেগম কার্ড নং-৩৮১, (৩) শাহানাজ পারভিন কার্ড নং-২৩৫৬, (৪) রমিচা বেগম কার্ড নং-২৩৫২, (৫) শিরিনা বেগম কার্ড নং-১৩৫৬, (৬) রোজিনা বেগম কার্ড নং-৩০৬, (৭) সুফিয়া বেগম কার্ড নং-৩০৮ জানান তাদের প্রত্যেকের ৪ হাজার ৯১১ টাকা করে জমা থাকলেও দিনের পর দিন ঘুরে তারা টাকা পাচ্ছেন না। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, ভিজিডি ভুক্তভোগীরা আমার অফিস ঘেরাও করে অভিযোগ দিয়েছে আমি নির্দেশ দিয়েছি তাদের টাকা যেন তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, জামানত হিসেবে হতদরিদ্র মানুষের টাকা কম দেয়া হয়েছে অভিযোগ শুনেছি। ফুলবাড়ীর ইউএনও ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য।
জানা গেছে, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় বাংলাদেশ সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি (বিএসডিএ) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি) নামের দুইটি এনজিওর বাস্তবায়নে ১লা জানুয়ারি ২০১৭ ফুলবাড়ী উপজেলায় দুই বছর মেয়াদি ভিজিডি প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ৬টি ইউনিয়নের ৫৭৯৯ জন হতদরিদ্র নারীকে জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল প্রদানের বিপরীতে পাস বইয়ের মাধ্যমে মাসিক ২০০ টাকা সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার (০১০২৭৬৫০ ও ৩৪১৩৮৫১৯) নম্বর হিসাবে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩২০ টাকা জমা হয় দু’বছরে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সঞ্চয়ের টাকা হাতে হাতে বিতরণ করলে ছিনতাই হতে পারে এমন অজুহাতে সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখা থেকে ওই টাকা ডাচ-বাংলা রকেট ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখায় স্থানান্তর করা হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জয়ন্তী রানী ও ডাচ্-বাংলা রকেটের লোকজন। ভুক্তভোগীরা হলেন, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী (১) মর্জিয়া বেগমের টাকা মোবাইলে আসে নাই। (২) লিপি বেগম কার্ড নং-৩৮১, (৩) শাহানাজ পারভিন কার্ড নং-২৩৫৬, (৪) রমিচা বেগম কার্ড নং-২৩৫২, (৫) শিরিনা বেগম কার্ড নং-১৩৫৬, (৬) রোজিনা বেগম কার্ড নং-৩০৬, (৭) সুফিয়া বেগম কার্ড নং-৩০৮ জানান তাদের প্রত্যেকের ৪ হাজার ৯১১ টাকা করে জমা থাকলেও দিনের পর দিন ঘুরে তারা টাকা পাচ্ছেন না। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাছুমা আরেফিন জানান, ভিজিডি ভুক্তভোগীরা আমার অফিস ঘেরাও করে অভিযোগ দিয়েছে আমি নির্দেশ দিয়েছি তাদের টাকা যেন তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, জামানত হিসেবে হতদরিদ্র মানুষের টাকা কম দেয়া হয়েছে অভিযোগ শুনেছি। ফুলবাড়ীর ইউএনও ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য।