বিশ্বজমিন

সারারাত পরে গুহা থেকে বেরিয়ে এলেন মোদি

মানবজমিন ডেস্ক

১৯ মে ২০১৯, রবিবার, ১২:০৭ অপরাহ্ন

রাতভর ধ্যান করলেন। অবশেষে রোববার সকালে কেদারনাথ গুহা থেকে বেরিয়ে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরাখন্ডে মন্দিরের শহর বলে পরিচিত ওই শহরে ওই গুহায় পুরো রাত কাটিয়ে দেন তিনি ধ্যানে। লোকসভা নির্বাচন যখন শেষের পথে তখন তিনি কি উদ্দেশে এই ধ্যানে গিয়েছেন তা জানা যায় নি। তবে গুহা থেকে বেরিয়ে তিনি মিডিয়াকে বলেছেন, ভারতীয়দের উচিত নিজেদের দেশের বিভিন্ন অংশ অন্বেষণ করা। দেখা উচিত দেশের বৈচিত্র। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য স্টেটসম্যান।
গুহা থেকে বেরিয়ে মোদি বললেন, আমি চাই আমার দেশের মানুষ দেশটাকে দেখুক। তারা বিদেশ সফরে যাবেন, তাতে আমার কোনোই আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের উচিত নিজের দেশের বিভিন্ন অংশও সফর করা।

কেদারনাথ গুহার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এটা আমার সৌভাগ্য যে, মাঝে মাঝে আমি এখানে আসার সুযোগ পাই। এখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ এবং পর্যটন আমাকে এই মিশনে আকৃষ্ট করে। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে তিনি কেদারনাথের উপাসকদের প্রশংসা করেন।

স্টেটসম্যান লিখেছে, লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফা ভোটের একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি গারোয়াল পাহাড়ে অবস্থিত কেদারনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন। সেখানে প্রার্থনা করেন। এরপর গুহার ভিতর ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়েন। পুরো রাত ধ্যানমগ্ন অবস্থায়ই কাটিয়ে দেন। গুহাটি একটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত বলে খুব বেশি মানুষ তা পরিদর্শন করে না। উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকার এই গুহার ভিতরে গত বছর কিছু উন্নয়নমুলক কাজ করেছে। এতে আকর্ষণীয় রূপ নিয়েছে ওই গুহা। গুহাটি ছোট্ট, যার আয়তন ১৮ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া, তাতে স্বাচ্ছন্দে অবস্থান করা যায় তিনজন মানুষ।

এর নবায়ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে পাহাড় বিষয়ক আর্কিটেকচারদের। গুহার বাইরে সিমেন্ট ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তা সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে পাথর। আর ছাদ বানানো হয়েছে স্লেট পাথরে। সঙ্গে রয়েছে একটি এটাচড টয়লেট। এতে ওই গুহার বিলাসিতা বেড়ে গেছে। একই রকম চেম্বার আরো উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে উত্তরাখন্ড সরকারের।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status