বাংলারজমিন
খুঁড়িয়ে চলছে রাজারহাট হাসপাতাল
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
১৯ মে ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
নানা সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা কার্যক্রম। কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়িত। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সসহ রয়েছে জনবল সংকট। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে জেলা সদর ও বিভাগীয় হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ লাখ জনসংখ্যার অধ্যুষিত রাজারহাট উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারি হাসপাতালটি। সরকারি সহায়তায় স্বল্প খরচে এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নানা বয়সী মানুষজন। কিন্তু মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমান আছেন মাত্র ৩ জন এবং ১৭ জন সাধারণ চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমান আছেন ৪ জন। অত্র হাসপাতালে অভিজ্ঞ ও সাধারণ মিলে ২৭ জন চিকিৎসকের স্থলে বর্তমানে মাত্র ৭ জন চিকিৎসক রয়েছে।
গতকাল দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে মাত্র ৭ জন ও পুরুষ ওয়ার্ডে মাত্র ১০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য কাতরাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, হাসপাতালটিতে একটি এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। রোগীরা জানান, একটু পেট ব্যথা হলে যেতে হয় জেলা হাসপাতালে।
চিকিৎসারত রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ডাক্তার মাত্র ১ বার (রাউন্ড) ঘুরে যায়। এমনকি কখনো ২ দিন পর ১ বার ডাক্তার (রাউন্ড) দেয়। আর বাহির হতে সব ধরনের ওষুধ কিনতে হয়। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ছাড়া আর কোনো ওষুধ মেলে না এই হাসপাতালে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসকের অফিসের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভদের অত্যাচারে রোগী ও রোগীর সঙ্গে আসা আপনজনরা বিরক্তিকর অবস্থায় পড়ে যান।
হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা জানান, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটে সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন আসলে তিনজন মেডিকেল অফিসারের পক্ষে সেবা দেয়া খুবই কষ্টকর।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডা. এ.এইচ.এম. বোরহান-উল-ইসলাম বলেন, হাসপাতালটিতে ১৫ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সেখানে বর্তমান রয়েছে মাত্র ৭ জন। হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০-৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। পাশাপাশি ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন ৪০-৫০ জন রোগী। তাই সেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজারহাট হাসপাতালটির সমস্যা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি অতি শিগগিরই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ লাখ জনসংখ্যার অধ্যুষিত রাজারহাট উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারি হাসপাতালটি। সরকারি সহায়তায় স্বল্প খরচে এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নানা বয়সী মানুষজন। কিন্তু মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমান আছেন মাত্র ৩ জন এবং ১৭ জন সাধারণ চিকিৎসকের বিপরীতে বর্তমান আছেন ৪ জন। অত্র হাসপাতালে অভিজ্ঞ ও সাধারণ মিলে ২৭ জন চিকিৎসকের স্থলে বর্তমানে মাত্র ৭ জন চিকিৎসক রয়েছে।
গতকাল দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে মাত্র ৭ জন ও পুরুষ ওয়ার্ডে মাত্র ১০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য কাতরাচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, হাসপাতালটিতে একটি এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। রোগীরা জানান, একটু পেট ব্যথা হলে যেতে হয় জেলা হাসপাতালে।
চিকিৎসারত রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ডাক্তার মাত্র ১ বার (রাউন্ড) ঘুরে যায়। এমনকি কখনো ২ দিন পর ১ বার ডাক্তার (রাউন্ড) দেয়। আর বাহির হতে সব ধরনের ওষুধ কিনতে হয়। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ছাড়া আর কোনো ওষুধ মেলে না এই হাসপাতালে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসকের অফিসের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটিভদের অত্যাচারে রোগী ও রোগীর সঙ্গে আসা আপনজনরা বিরক্তিকর অবস্থায় পড়ে যান।
হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা জানান, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটে সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আতিকুর রহমান বলেন, প্রতিদিন আসলে তিনজন মেডিকেল অফিসারের পক্ষে সেবা দেয়া খুবই কষ্টকর।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য প. প. কর্মকর্তা ডা. এ.এইচ.এম. বোরহান-উল-ইসলাম বলেন, হাসপাতালটিতে ১৫ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সেখানে বর্তমান রয়েছে মাত্র ৭ জন। হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০-৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। পাশাপাশি ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন ৪০-৫০ জন রোগী। তাই সেবা দিতে চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজারহাট হাসপাতালটির সমস্যা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি অতি শিগগিরই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।