বাংলারজমিন
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভেঙে পড়লো ব্রিজটি
মো. খাইরুল ইসলাম আকাশ, তালতলী (বরগুনা) থেকে
১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনার তালতলীতে ছোটবগী ও পাঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের খাল থেকে অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করায় ছোটবগী পিকে স্কুলের ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে তেমনি আশেপাশের বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সরজমিন গিয়ে জানা যায়, গত চার-পাঁচ মাস আগে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে ব্রিজটির পাশ দিয়ে স্থানীয় জামাল ফকির নামের এক ব্যক্তি ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে। তার বাড়ির পুকুর- ডোবা ভরাট করতে গিয়ে পিকে স্কুলের বগীর খালের বালু উত্তোলন করার ফলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ছে বলে জানান এক স্কুলশিক্ষক। উপজেলার ছোটবগী ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের দুটি খালের উপরে ১৯৯১ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রয়াত মো. মুজিবর রহমান তালুকদার সেতুটি নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ২০ হাজারেরও বেশি পথচারীর দুর্ভোগ কমে আসে অন্যদিকে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাঁশের সাঁকো পারাপারের জনদুর্ভোগের অবসান ঘটে। ব্রিজটির পাশেই উপজেলার অন্যতম ছোটবগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর এখন স্কুলে আসা-যাওয়া ও নদী পারাপার ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে পড়ছে। স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এই ব্রিজটির কারণে আমরা ঠিক সময় স্কুলে যেতে পারছি না। অনেক পথ ঘুরে তারপরে স্কুলে যেতে হয়। সরকারের কাছে জোর দাবি এই ব্রিজটি সংস্কার করে দেয়। পিকে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. জাকির হোসেন চুন্নু জানান, স্থানীয় আঃ ছত্তার ফকিরের ছেলে জামাল ফকির তার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার জন্য স্কুলসংলগ্ন ছোটবগী খাল থেকে বালি উত্তোলন করে তার বাড়ির পুকুর-ডোবা ভরাট করতে গিয়ে পিকে স্কুলের বগীর খালের উপরস্থ ব্রিজের প্রভূত ক্ষতিসাধন করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামাল ফকিরকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে ব্রিজটি ভেঙে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।