এক্সক্লুসিভ
ইরানের দাবি ফাঁসানোর চেষ্টা
সৌদি জাহাজে গুপ্ত হামলা
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ মে ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন
সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে সৌদি আরবের কয়েকটি তেলবাহী জাহাজে হামলা হয়েছে। এতে জাহাজগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী। দেশটি ও এর প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েকদিন ধরেই বলে আসছিল এই রুটে তেলবাহী জাহাজে ইরান হামলা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জানিয়েছিল, ইরানের হামলার সপষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। তাদের আঙ্গুল সরাসরি ইরানের দিকে। এ জন্য এ রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছিল। তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। সৌদির তোলা অভিযোগের পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মৌসভী বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেন, এই ঘটনা সমপর্কে আরো সপষ্ট তথ্য দেয়ার প্রয়োজন ছিল। এসময় তিনি ইরানের বিরুদ্ধে থাকা সকল কুচক্রী মহলকে হুঁশিয়ারি বার্তা দেন। একইসঙ্গে ইরানের শক্তিকে ছোট করে না দেখতে সাবধান করেন তিনি।
সৌদি জাহাজে হামলা নিয়ে যা জানা গেছে তা সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়, আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে। দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সাগরে নৌ-চলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।
ফুজাইরাহ বন্দরে রোববার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার। ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সামপ্রতিক সময় ইরানের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানকে হুঁশিয়ারি দিতেই তাদের এই পদক্ষেপ। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের রক্ষা করতেই নতুন এই উদ্যোগ। ইরানকে সাবধান করে দিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ইরানের যেকোনো হামলা তারা নির্মম শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করবেন। রণতরী পাঠানোর পর ইরানকে চাপে ফেলতে নতুন করে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। একই সঙ্গে সেখানে আরো একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো হচ্ছে। যদিও ট্রামপ প্রশাসন বলছে, তারা সরাসরি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে সামপ্রতিক ঘটনাবলী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বাধানোর অজুহাত আর চাপা থাকছে না।
সৌদি জাহাজে হামলা নিয়ে যা জানা গেছে তা সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়, আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে। দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সাগরে নৌ-চলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।
ফুজাইরাহ বন্দরে রোববার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার। ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সামপ্রতিক সময় ইরানের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানকে হুঁশিয়ারি দিতেই তাদের এই পদক্ষেপ। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের রক্ষা করতেই নতুন এই উদ্যোগ। ইরানকে সাবধান করে দিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ইরানের যেকোনো হামলা তারা নির্মম শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করবেন। রণতরী পাঠানোর পর ইরানকে চাপে ফেলতে নতুন করে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। একই সঙ্গে সেখানে আরো একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো হচ্ছে। যদিও ট্রামপ প্রশাসন বলছে, তারা সরাসরি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে সামপ্রতিক ঘটনাবলী থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বাধানোর অজুহাত আর চাপা থাকছে না।