বিশ্বজমিন
এ যেন আরেক নুসরাতকাণ্ড
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ মে ২০১৯, সোমবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন
যেন আরেক নুসরাতকাণ্ড। ফেনির নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে অপরাধীচক্র। আর ভারতের উত্তর প্রদেশে এক যুবতী নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে তার পিতা ও এক ‘আন্ট’ মিলে ১০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দিয়েছিল। সেখানে তাকে যে ব্যক্তি কিনে নিয়েছিল সে ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করেছে তাকে। ওই যুবতী এর জন্য বিচার চাইতে গিয়েছেন পুলিশে। কিন্তু পুলিশ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তাই গত মাসে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেঁচে যান তিনি। পুড়ে গেছে শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা। বর্তমানে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নুসরাতের বিষয়ে পুলিশ যেমন অবহেলা করেছিল, ঠিক যেন একই ঘটনা এখানেও। নুসরাতের শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এই যুবতীরও একই অবস্থা। নুসরাত যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। এই যুবতীও তাই। পার্থক্য শুধু তিনি নিজে গায়ে আগুন দিয়েছেন। তিনি উত্তর প্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ আছে, তার বিয়ে হয়েছিল। এক পর্যায়ে তার স্বামী মারা যান। এরপর তাকে তার পিতা বিক্রি করে দেয়। তাকে যে ব্যক্তি কিনেছিল, সে আরো অনেকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। এ জন্য ওই যুবতীকে সেই ব্যক্তি ঋণদাতাদের কাছে পাঠায়। সেখানে তাকে বার বার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে ওই যুবতী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ যখন উঠেছে তখন রোববার হাপুর এসপি যশবীর সিং বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। দিল্লি কমিশন ফর ওমেন (ডিসিডব্লিউ)-এর চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল এ মামলাটি হাতে নিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই যুবতীর জন্য সুবিচার চেয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতি।
তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন, হাপুরে গণধর্ষণের শিকার একজনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছে ডিসিডব্লিউ। এ নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে আছেন যে নির্যাতিতা তিনি উত্তর প্রদেশের হাপুরে পুলিশের হাতে অকল্পনীয় হয়রানির শিকার হয়েছেন। তিনি এফআইআর করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এই অবহেলা ও লজ্জাজনক আচরণের কারণে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই যুবতী নিজেকে বলি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, হাপুরের একজন বাসিন্দার কাছে মাত্র ১০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল ওই যুবতীকে। তাকে যে ব্যক্তি কিনেছিল, সে আরো অনেকের কাছ থেকে অর্থ ধার করে। এ জন্য ওই যুবতীকে ঋণদাতাদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাকে অব্যাহতভাবে যৌন হয়রান ও গণধর্ষণ করা হয়েছে।
নির্যাতিত ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তিনি অভিযোগ নিয়ে হাপুর এসপি সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তারা তার অভিযোগ নিবন্ধিত করতে অস্বীকৃতি জানান। আর তো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরের কথা। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই যুবতী। তিনি ২৮ এপ্রিল নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। ভয়াবহ এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে ডিসিডব্লিউ চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি হাপুর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন।
জবাবে বাবুগড় পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার রাজেশ কুমার ভারতী বলেছেন, আমরা কমপক্ষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ওদিকে নির্যাতিত ওই যুবতীর একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে তাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ কোনো পদক্ষেপই নেয় নি। তারা অর্থের বিনিময়ে আমার অভিযোগকে ধামাচাপা দিয়েছে।
নুসরাতের বিষয়ে পুলিশ যেমন অবহেলা করেছিল, ঠিক যেন একই ঘটনা এখানেও। নুসরাতের শরীরের শতকরা ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এই যুবতীরও একই অবস্থা। নুসরাত যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। এই যুবতীও তাই। পার্থক্য শুধু তিনি নিজে গায়ে আগুন দিয়েছেন। তিনি উত্তর প্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ আছে, তার বিয়ে হয়েছিল। এক পর্যায়ে তার স্বামী মারা যান। এরপর তাকে তার পিতা বিক্রি করে দেয়। তাকে যে ব্যক্তি কিনেছিল, সে আরো অনেকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল। এ জন্য ওই যুবতীকে সেই ব্যক্তি ঋণদাতাদের কাছে পাঠায়। সেখানে তাকে বার বার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে ওই যুবতী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ যখন উঠেছে তখন রোববার হাপুর এসপি যশবীর সিং বলেছেন, ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। দিল্লি কমিশন ফর ওমেন (ডিসিডব্লিউ)-এর চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল এ মামলাটি হাতে নিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই যুবতীর জন্য সুবিচার চেয়ে তিনি চিঠি লিখেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতি।
তিনি ওই চিঠিতে লিখেছেন, হাপুরে গণধর্ষণের শিকার একজনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছে ডিসিডব্লিউ। এ নির্যাতনের হাত থেকে বেঁচে আছেন যে নির্যাতিতা তিনি উত্তর প্রদেশের হাপুরে পুলিশের হাতে অকল্পনীয় হয়রানির শিকার হয়েছেন। তিনি এফআইআর করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এই অবহেলা ও লজ্জাজনক আচরণের কারণে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই যুবতী নিজেকে বলি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, হাপুরের একজন বাসিন্দার কাছে মাত্র ১০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল ওই যুবতীকে। তাকে যে ব্যক্তি কিনেছিল, সে আরো অনেকের কাছ থেকে অর্থ ধার করে। এ জন্য ওই যুবতীকে ঋণদাতাদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। সেখানে তাকে অব্যাহতভাবে যৌন হয়রান ও গণধর্ষণ করা হয়েছে।
নির্যাতিত ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তিনি অভিযোগ নিয়ে হাপুর এসপি সহ পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তারা তার অভিযোগ নিবন্ধিত করতে অস্বীকৃতি জানান। আর তো অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দূরের কথা। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই যুবতী। তিনি ২৮ এপ্রিল নিজেকে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। ভয়াবহ এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে ডিসিডব্লিউ চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি হাপুর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন।
জবাবে বাবুগড় পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার রাজেশ কুমার ভারতী বলেছেন, আমরা কমপক্ষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ওদিকে নির্যাতিত ওই যুবতীর একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে তাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশ কোনো পদক্ষেপই নেয় নি। তারা অর্থের বিনিময়ে আমার অভিযোগকে ধামাচাপা দিয়েছে।