এক্সক্লুসিভ
ওজনে কারচুপি সবখানে...
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৪ মে ২০১৯, শনিবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
মাছ-মাংস থেকে চালের আড়ৎ কিংবা ভোগ্যপণ্যের দোকানেও ওজনে কম। এভাবে সারা বছর ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে রমজানকে টার্গেট করে এই কারচুপি বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানদাররা।
মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার নগরীর ষোলশহরের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স এবং বহদ্দারহাটের হক মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উঠে আসে ওজনে কারচুপির ভয়াবহ চিত্র। ব্যবসায়ীদের কৌশল দেখে হতভম্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনেক ব্যবসায়ী রমজান এলেই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। পাইকারি বাজার কিংবা খুচরা বাজারে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে কিনা তা আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো। ভোগ্যপণ্যের মার্কেট থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলেও অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকা ও ওজনে কারচুপির অভিযোগে মুঈনিয়া স্টোরকে এক হাজার টাকা, ৩১০ টাকা দিয়ে কিনে ৩৫০ টাকা মূল্যে বাটা মাছ বিক্রি ও মূল্যতালিকা না টাঙানোয় মাছবিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন এবং আইয়ুবকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া নগরীর সবচেয়ে ক্রেতা ঠকানোর বাজার হিসেবে খ্যাত বহদ্দারহাট মাংসের বাজারে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম। এমন সময় আলাউদ্দিন নামের এক ক্রেতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেন মাংস বিক্রেতা তার কাছে থেকে মূল্যতালিকা থেকে ৫০ টাকা বেশি নিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দেখেন আবু সুফিয়ান নামের ওই মাংস বিক্রেতার দোকানের মূল্য তালিকায় এক কেজি খাসির কলিজার বিক্রয়মূল্য লেখা আছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু দোকানদার ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করেন ৪০০ টাকা। ৫০ টাকা বাড়তি আদায়ে তাকে মাশুল গুনতে হলো ৫ হাজার টাকা। এ সময় ফোরকান এলাহী মাংসবিক্রেতা আবু সুফিয়ানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ঈমান ঠিক রেখে ব্যবসা করার নির্দেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিক্রি হওয়া গরুর মাংসগুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত কসাইখানায় জবাই হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই না হলে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সম্ভাবনা থাকে। গরু জবাইয়ের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় মাংস বিক্রেতা আব্দুল করিমকে এক হাজার ৫০০ টাকা, অধিক দামে মাংস বিক্রি করার দায়ে জিয়াউর রহমানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে খুচরা দোকান মেসার্স হাটহাজারী স্টোরকে মূল্যতালিকা না টাঙানোর কারণে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানের সময় ওই বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা মাসুদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সীমা লঙ্ঘন না করার নির্দেশ দেন ওই নেতাকে।
এরপর বহদ্দারহাটের হক মার্কেটের চালের গুদাম মেসার্স পুবালী খাদ্যভাণ্ডারে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তা পরিমাপ করে ৮০০ গ্রাম কম পাওয়া যায়। এই অভিযোগে ওই গুদামের মালিককে জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ওজনে কম দেয়ার জন্য দোকানমালিক ফারুককে সতর্ক করে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে যাচ্ছি। পরবর্তী সময়ে জরিমানা এবং শাস্তির মাত্রা বাড়বে। ব্যবসায়ীদের একাধিকবার পণ্যের মূল্যতালিকা লাগানোর জন্য বলা হলেও তারা এখনো তা সংরক্ষণ করেননি। পর্যায়ক্রমে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযানের ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, বিএসটিআই এর পরিদর্শক মুকুল মৃধা, কৃষি বিপণন বিভাগের বাজার ব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেন, ক্যাব প্রতিনিধি সেলিম সাজ্জাদ ও চট্টগ্রাম চেম্বার প্রতিনিধি মোকাম্মেল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার নগরীর ষোলশহরের কর্ণফুলী কমপ্লেক্স এবং বহদ্দারহাটের হক মার্কেটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উঠে আসে ওজনে কারচুপির ভয়াবহ চিত্র। ব্যবসায়ীদের কৌশল দেখে হতভম্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, অনেক ব্যবসায়ী রমজান এলেই ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। পাইকারি বাজার কিংবা খুচরা বাজারে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে কিনা তা আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো। ভোগ্যপণ্যের মার্কেট থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলেও অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকা ও ওজনে কারচুপির অভিযোগে মুঈনিয়া স্টোরকে এক হাজার টাকা, ৩১০ টাকা দিয়ে কিনে ৩৫০ টাকা মূল্যে বাটা মাছ বিক্রি ও মূল্যতালিকা না টাঙানোয় মাছবিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন এবং আইয়ুবকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া নগরীর সবচেয়ে ক্রেতা ঠকানোর বাজার হিসেবে খ্যাত বহদ্দারহাট মাংসের বাজারে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম। এমন সময় আলাউদ্দিন নামের এক ক্রেতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করেন মাংস বিক্রেতা তার কাছে থেকে মূল্যতালিকা থেকে ৫০ টাকা বেশি নিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে দেখেন আবু সুফিয়ান নামের ওই মাংস বিক্রেতার দোকানের মূল্য তালিকায় এক কেজি খাসির কলিজার বিক্রয়মূল্য লেখা আছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু দোকানদার ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করেন ৪০০ টাকা। ৫০ টাকা বাড়তি আদায়ে তাকে মাশুল গুনতে হলো ৫ হাজার টাকা। এ সময় ফোরকান এলাহী মাংসবিক্রেতা আবু সুফিয়ানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ঈমান ঠিক রেখে ব্যবসা করার নির্দেশ দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিক্রি হওয়া গরুর মাংসগুলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত কসাইখানায় জবাই হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই না হলে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সম্ভাবনা থাকে। গরু জবাইয়ের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় মাংস বিক্রেতা আব্দুল করিমকে এক হাজার ৫০০ টাকা, অধিক দামে মাংস বিক্রি করার দায়ে জিয়াউর রহমানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে খুচরা দোকান মেসার্স হাটহাজারী স্টোরকে মূল্যতালিকা না টাঙানোর কারণে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানের সময় ওই বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা মাসুদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সীমা লঙ্ঘন না করার নির্দেশ দেন ওই নেতাকে।
এরপর বহদ্দারহাটের হক মার্কেটের চালের গুদাম মেসার্স পুবালী খাদ্যভাণ্ডারে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের চালের বস্তা পরিমাপ করে ৮০০ গ্রাম কম পাওয়া যায়। এই অভিযোগে ওই গুদামের মালিককে জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ওজনে কম দেয়ার জন্য দোকানমালিক ফারুককে সতর্ক করে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে যাচ্ছি। পরবর্তী সময়ে জরিমানা এবং শাস্তির মাত্রা বাড়বে। ব্যবসায়ীদের একাধিকবার পণ্যের মূল্যতালিকা লাগানোর জন্য বলা হলেও তারা এখনো তা সংরক্ষণ করেননি। পর্যায়ক্রমে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযানের ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, বিএসটিআই এর পরিদর্শক মুকুল মৃধা, কৃষি বিপণন বিভাগের বাজার ব্যবস্থাপক বিল্লাল হোসেন, ক্যাব প্রতিনিধি সেলিম সাজ্জাদ ও চট্টগ্রাম চেম্বার প্রতিনিধি মোকাম্মেল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।