প্রথম পাতা
সাংবাদিকদের চোর বলিনি
স্টাফ রির্পোটার
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
‘বিন্দু ৩৬৫’ নামের একটি ট্যুরিজম কোম্পানির যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠান চলছিল। তখনো প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত হননি। বিশেষ অতিথি র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ মাত্রই বক্তব্য শেষ করে বেরিয়ে গেছেন। অভিনেত্রী জয়া আহসান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সারের উপস্থিতিতে চলছিল কেক কাটার আয়োজন।
এরমধ্যেই শমী কায়সার চিৎকার করে উঠেন, জানান তার দুইটি স্মার্ট ফোনই হারিয়ে গেছে। ভরা মজলিস থেকে ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনায় হতবাক শমী কায়সার। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু না। অভিনেত্রী শমী তার নিরাপত্তা কর্মীদের বললেন মিলনায়তনে উপস্থিত সবার পকেট তল্লাশি করে হলেও যেন তার ফোন দুটি বের করা হয়। সে অনুযায়ি আটকে দেয়া হয় মিলনায়তনের প্রধান দরজা। সেখানে থাকা ২০ থেকে ৩০ জন সাংবাদিক ও আমন্ত্রিতদের ভেতরে আটকে একে একে তাদের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি শুরু হয়। এর প্রতিবাদ করে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। এসময় শমী কায়সারের ব্যক্তিগত কর্মীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে চোর শব্দ উচ্চারণ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে পড়ে। পরে সেখানে থাকা টেলিভিশন সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যেই ফোন চুরির তথ্য মিলে।
ততক্ষণে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোলা হয়ে গেছে। যদিও এই মুহূর্তে এসে শমী কায়সার দুঃখ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও আয়োজকদের কাছে। হট্টগোলের মধ্যেই তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই ছিলেন। পরে তিনি আর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। প্রেসক্লাব চত্ত্বরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহে যাওয়া দৈনিক দেশরূপান্তর এর প্রতিবদেক কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুরো কক্ষে হট্টগোল তৈরি হয়ে যায়। সাংবাদিকরা যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন, তখন কেউ কারো কথা শুনছিলেন না। তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। পরে আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যগ করি। এবং তথ্যমন্ত্রীকে বাইরে নিয়ে তার সঙ্গে আমরা কথা বলি।
এদিকে বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে এক তরুণকে চিহ্নিত করা হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। উদ্ধার হয়নি শমী কায়সারের ফোনও।
টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কেক কাটার সময় কেকের পাশেই থাকা শমী কায়সারের ফোন দুটি চুরি করে নেয় সাদা টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ। ভিডিওতে তার মুখ দেখা যায়নি।
‘বিন্দু ৩৬৫’ প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা অনুষ্ঠানে ওই টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চেহারা দেখা না যাওয়ায় তারা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আদৌ ওই তরুণ তাদের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন কি না।
‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। আমার আমন্ত্রণে অতিথিরা এসেছিলেন, আমি খুব বিব্রত। সাংবাদিক-অতিথি সবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। আশা করি সবাই বিষয়টিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ঘটনার বিষয়ে শমী কায়সার মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি আসলে কিছুই না। ওখানে যেটা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে আমার দুটি ফোন কেউ নিয়ে গেছে। যারা আয়োজক ছিল তারা বলেছে, দরজাটা বন্ধ করেন, ফোন দুটি কে নিলো দেখতে হবে।
সাংবাদিকদের কাউকে চোর বলা হয়নি। পরে তো সিসিফুটেজে দেখা গেছে একজন ইলেকট্রিশিয়ান (লাইটিংয়ের এক কর্মী) ফোন দুটি নিয়েছে। সে ওখানে (প্রেসক্লাব) কাজ করে। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে চোর বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে শমী বলেন, না, গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কিচ্ছু বলিনি। চোর তো বলিইনি। কাউকেই কিছু বলিনি। আমি শুধু বলেছি, আপনারা একটু সহযোগিতা করেন। তখন আয়োজকরা বললো, তাহলে আপনারা বের হওয়ার সময় আমরা একটু চেক করি। পরে তো আমি বলেছি, আপনারা কেউ কিছু মনে নিয়েন না। যদি খারাপ লাগে তাহলে স্যরি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় চোর বা এরকম কিছুই বলা হয়নি। এগুলো একটু বেশি বেশি বলা হচ্ছে। আর যারা আয়োজক ছিল তাদের হয়তো একটু খারাপ লেগেছে। কারণ প্রেসক্লাবের মতো যায়গায় এমন ঘটনা কাম্য নয়। ফোন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার দুটি ফোনের একটি ফোনও পাওয়া যায়নি। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফোনে থাকে।
এরমধ্যেই শমী কায়সার চিৎকার করে উঠেন, জানান তার দুইটি স্মার্ট ফোনই হারিয়ে গেছে। ভরা মজলিস থেকে ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনায় হতবাক শমী কায়সার। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু না। অভিনেত্রী শমী তার নিরাপত্তা কর্মীদের বললেন মিলনায়তনে উপস্থিত সবার পকেট তল্লাশি করে হলেও যেন তার ফোন দুটি বের করা হয়। সে অনুযায়ি আটকে দেয়া হয় মিলনায়তনের প্রধান দরজা। সেখানে থাকা ২০ থেকে ৩০ জন সাংবাদিক ও আমন্ত্রিতদের ভেতরে আটকে একে একে তাদের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি শুরু হয়। এর প্রতিবাদ করে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। এসময় শমী কায়সারের ব্যক্তিগত কর্মীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে চোর শব্দ উচ্চারণ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে পড়ে। পরে সেখানে থাকা টেলিভিশন সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যেই ফোন চুরির তথ্য মিলে।
ততক্ষণে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘোলা হয়ে গেছে। যদিও এই মুহূর্তে এসে শমী কায়সার দুঃখ প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও আয়োজকদের কাছে। হট্টগোলের মধ্যেই তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই ছিলেন। পরে তিনি আর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। প্রেসক্লাব চত্ত্বরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহে যাওয়া দৈনিক দেশরূপান্তর এর প্রতিবদেক কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় পুরো কক্ষে হট্টগোল তৈরি হয়ে যায়। সাংবাদিকরা যখন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন, তখন কেউ কারো কথা শুনছিলেন না। তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। পরে আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যগ করি। এবং তথ্যমন্ত্রীকে বাইরে নিয়ে তার সঙ্গে আমরা কথা বলি।
এদিকে বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে এক তরুণকে চিহ্নিত করা হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। উদ্ধার হয়নি শমী কায়সারের ফোনও।
টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কেক কাটার সময় কেকের পাশেই থাকা শমী কায়সারের ফোন দুটি চুরি করে নেয় সাদা টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ। ভিডিওতে তার মুখ দেখা যায়নি।
‘বিন্দু ৩৬৫’ প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা অনুষ্ঠানে ওই টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চেহারা দেখা না যাওয়ায় তারা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আদৌ ওই তরুণ তাদের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন কি না।
‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্যোক্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। আমার আমন্ত্রণে অতিথিরা এসেছিলেন, আমি খুব বিব্রত। সাংবাদিক-অতিথি সবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি। আশা করি সবাই বিষয়টিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ঘটনার বিষয়ে শমী কায়সার মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি আসলে কিছুই না। ওখানে যেটা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে আমার দুটি ফোন কেউ নিয়ে গেছে। যারা আয়োজক ছিল তারা বলেছে, দরজাটা বন্ধ করেন, ফোন দুটি কে নিলো দেখতে হবে।
সাংবাদিকদের কাউকে চোর বলা হয়নি। পরে তো সিসিফুটেজে দেখা গেছে একজন ইলেকট্রিশিয়ান (লাইটিংয়ের এক কর্মী) ফোন দুটি নিয়েছে। সে ওখানে (প্রেসক্লাব) কাজ করে। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে চোর বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে শমী বলেন, না, গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কিচ্ছু বলিনি। চোর তো বলিইনি। কাউকেই কিছু বলিনি। আমি শুধু বলেছি, আপনারা একটু সহযোগিতা করেন। তখন আয়োজকরা বললো, তাহলে আপনারা বের হওয়ার সময় আমরা একটু চেক করি। পরে তো আমি বলেছি, আপনারা কেউ কিছু মনে নিয়েন না। যদি খারাপ লাগে তাহলে স্যরি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় চোর বা এরকম কিছুই বলা হয়নি। এগুলো একটু বেশি বেশি বলা হচ্ছে। আর যারা আয়োজক ছিল তাদের হয়তো একটু খারাপ লেগেছে। কারণ প্রেসক্লাবের মতো যায়গায় এমন ঘটনা কাম্য নয়। ফোন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার দুটি ফোনের একটি ফোনও পাওয়া যায়নি। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফোনে থাকে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]