অনলাইন
জঙ্গী জঙ্গীই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই
সংসদ রিপোর্টার
২৪ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, দেশের কোথাও কোন অস্বাভাবিক কিছু পেলে সঙ্গে সঙ্গে যেন দেশবাসী তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানায়। আমরা জঙ্গীবাদ কঠোর হস্তে দমন করেছি। আমরা চাই না পৃথিবীতে এধরনের ঘটনা কোথাও ঘটুক। এসব ঘৃণ্য হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, সেসব সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের কোন ধর্ম নেই, দেশ, কাল, পাত্র নেই। জঙ্গী জঙ্গীই, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। দেশবাসীর কাছে আহ্বান, এই সন্ত্রাসী ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে মানুষ যেন জড়িত না হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পুরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বোমা হামলায় নিহত শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ওই ঘৃণ্য হামলায় শুধু জায়ান চৌধুরীই নয়, প্রায় ৪০ জনের কাছাকাছি শিশুসহ প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষ মারা গেছে। এই ধরণের সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও বোমা হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা নাই। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে, এর মধ্যে হামলাকারীরা কি অর্জন করছে জানি না। এই ছোট নিষ্পাপ শিশুতো কোন অপরাধ করেনি? তারা কেন এভাবে জীবন দেবে? কিছুদিন পূর্বেই নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সরাসরি গুলিতে অনেকগুলি মানুষকে হত্যা করা হলো। সেখানেও নারী ছিল, শিশু ছিল। আমাদের ক্রিকেট টিমও ছিল। খুব অল্পের জন্য তারা বেঁচে গেছে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ মানুষের কোন কল্যাণ আনতে পারেনি। ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মানুষ সৃষ্ট সন্ত্রাসও দেখেছি। নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এই ধরণের অমানবিক ঘটনাগুলো সত্যিই মানব জাতির জন্য অকল্যাণকর। তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের নামে যারা এসব কাজ করছে, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম। সেই ধর্মকেই সকল মানব জাতির কাছে হেয়-প্রতিপন্ন করছে। সব ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে। তারপরেও কিছু লোক ধর্মীয় উম্মাদনার নামে মানুষের প্রতি আঘাত হানে, মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। যা মানবজাতির জন্য বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর। তাই দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান, এই ধরণের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে মানুষ যেন জড়িত না হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘৃণ্য কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরাই নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আওয়ামী লীগ চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পূর্বে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রকাশ পায়। এ সব তথ্য হতে দেখা যায়, পরোক্ষভাবে দেশী-বিদেশী কিছু লোক ও সংস্থা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই এ নির্মম হত্যাকান্ডের ব্যাপারে অন্যান্য পরিকল্পনাকারীদের সনাক্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।