বিশ্বজমিন
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত
মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসী ঘোষণা
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী ঘোষণা করলো ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে উত্থাপিত এ বিল পাস হয়েছে। বিলে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনী যা করেছে তা সন্ত্রাসবাদ ছাড়া কিছুই নয়। মোট ২১৫ সদস্যের ১৭৩ জন এর পক্ষে ভোট দেয়, ৪ জন দেয় বিপক্ষে। বাকিরা এ সময় অনুপস্থিত ছিল। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। এর আগে ইরানের এলিট ফোর্স আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এ সপ্তাহে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এখন থেকে কোনো রাষ্ট্র যদি ইরান থেকে তেল আমদানি করে তাহলে তাকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরতে হবে। এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পূর্বেই ইরান পুনরায় হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। পৃথিবীর রপ্তানি হওয়া তেলের তিন ভাগের এক ভাগই এ প্রণালী দিয়ে রপ্তানি করা হয়। এর আগে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ইরানি পেট্রোল বোটের বিরুদ্ধে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান তার ইচ্ছা অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু জ্বালানি তেল রপ্তানি করবে। আমেরিকা কিছুই করতে পারবে না। বুধবার রাজধানী তেহরানে শ্রমিকদের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেছেন। ইরানের তেল কেনার ক্ষেত্রে আটটি দেশকে দেয়া মার্কিন ছাড়ের মেয়াদ নবায়ন করা হবে না বলে ওয়াশিংটন ঘোষণা করার পর তিনি একথা বললেন। তিনি আরো বলেন, শত্রুদের বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে ইরানি জাতি নীরব থাকবে না বরং শত্রুরা এর জবাব পাবে। মার্কিন সরকার চায় ইরানিরা তাদের অন্যায়ের কাছে মাথানত করুক। কিন্তু তাদের এ ইচ্ছা কখনোই পূরণ হবে না। অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তারা অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে চায়। শত্রুরা ভাবছে তারা আমাদের পথ বন্ধ করে দিতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের তেজস্বী ইরানি জাতি এবং বিচক্ষণ সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম। একইসঙ্গে তিনি জ্বালানি তেল খাতের ওপর নির্ভরতা কমাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন সরকার গত বছরের নভেম্বরে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য ছাড় দেয়। সমপ্রতি হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, আগামী ২রা মে ছয় মাসের সে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা আর নবায়ন করা হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার দৃষ্টিতে এখন থেকে বিশ্বের কোনো দেশ আর ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি করতে পারবে না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান তার ইচ্ছা অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু জ্বালানি তেল রপ্তানি করবে। আমেরিকা কিছুই করতে পারবে না। বুধবার রাজধানী তেহরানে শ্রমিকদের এক সমাবেশে তিনি একথা বলেছেন। ইরানের তেল কেনার ক্ষেত্রে আটটি দেশকে দেয়া মার্কিন ছাড়ের মেয়াদ নবায়ন করা হবে না বলে ওয়াশিংটন ঘোষণা করার পর তিনি একথা বললেন। তিনি আরো বলেন, শত্রুদের বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে ইরানি জাতি নীরব থাকবে না বরং শত্রুরা এর জবাব পাবে। মার্কিন সরকার চায় ইরানিরা তাদের অন্যায়ের কাছে মাথানত করুক। কিন্তু তাদের এ ইচ্ছা কখনোই পূরণ হবে না। অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তারা অশুভ লক্ষ্য হাসিল করতে চায়। শত্রুরা ভাবছে তারা আমাদের পথ বন্ধ করে দিতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের তেজস্বী ইরানি জাতি এবং বিচক্ষণ সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম। একইসঙ্গে তিনি জ্বালানি তেল খাতের ওপর নির্ভরতা কমাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, মার্কিন সরকার গত বছরের নভেম্বরে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য ছাড় দেয়। সমপ্রতি হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে, আগামী ২রা মে ছয় মাসের সে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা আর নবায়ন করা হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার দৃষ্টিতে এখন থেকে বিশ্বের কোনো দেশ আর ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি করতে পারবে না।