বাংলারজমিন
কুলাউড়ায় উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এক বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি। উপরন্তু নির্মাণ কাজের পরিত্যক্ত মালামাল বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখায় আহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের জন্য ১৮ লাখ টাকা অনুদান দেন। স্বল্প মেয়াদে (২ মাসের মধ্যে) সেই কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সভাপতি নিয়ামুল ইসলাম কমর। কোন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে তিনি নিজে কাজ করানো শুরু করেন। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ৫০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। এছাড়া উন্নয়ন কমিটির বাকি সদস্যরা জানেন না বাস্তবায়নকৃত কাজ বা কাজের ব্যয়কৃত অর্থের পরিমাণ কতো। এদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার কাজের পরিত্যক্ত মালামাল যত্রতত্র ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নায়েফ আলম মারুফ, জেএসসি পরীক্ষার্থী নোহা ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তারের পায়ে লোহা বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। যার ফলে বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সভাপতি নিয়ামুল ইসলাম কমর জানান, মিস্ত্রির উদাসীনতায় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি ঠিকাদার নয়, তবে কাজ দেখাশুনা করি। কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কমিটিকে বললেও তারা আসেনা। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান ছুরুক জানান, যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হলেও কাজের আয়-ব্যয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কাজ দ্রুত করার কথা থাকলেও তা হয়নি। বিদ্যালয়ের দরজা জানালা দীর্ঘদিন থেকে বদলানোর নামে খোলা থাকায় অরক্ষিত হয়ে পরেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অভিভাবকরা আমার কাছে নালিশ নিয়ে আসে। তাদের সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।
এব্যাপারে বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সভাপতি নিয়ামুল ইসলাম কমর জানান, মিস্ত্রির উদাসীনতায় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি ঠিকাদার নয়, তবে কাজ দেখাশুনা করি। কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কমিটিকে বললেও তারা আসেনা। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান ছুরুক জানান, যৌথ স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন হলেও কাজের আয়-ব্যয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কাজ দ্রুত করার কথা থাকলেও তা হয়নি। বিদ্যালয়ের দরজা জানালা দীর্ঘদিন থেকে বদলানোর নামে খোলা থাকায় অরক্ষিত হয়ে পরেছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অভিভাবকরা আমার কাছে নালিশ নিয়ে আসে। তাদের সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।